ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিন চিকিৎসকে চলছে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

তিন চিকিৎসকে চলছে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২১টি। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১৮ পদ শূন্য। মাত্র ৩ চিকিৎসকের মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে এ হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। এর মধ্যে একজন আবাসিক চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছেন। চিকিৎসক সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে বৈকালিক চিকিৎসা সেবাও। সঙ্গে রয়েছে ওষুধ সঙ্কট। সব মিলিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। নওগাঁ জেলার বৃহত্তম উপজেলা মান্দা। ১৪টি ইউনিয়নে লোকসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। বিপুল জনঅধ্যুষিত এ বৃহৎ উপজেলায় চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এ হাসপাতালটি। প্রাথমিক ও জরুরী সেবা নিতে এ হাসপাতালে ২৫০ থেকে ৩শ’ রোগীর আগমন ঘটে প্রতিদিন। কিন্তু চিকিৎসক সঙ্কটে কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। রবিবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বহির্বিভাগের সামনে সেবা নিতে আসা রোগীরা এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করছেন। এ বিভাগের একটি কক্ষে রোগী দেখছেন মেডিক্যাল এ্যাসিস্টেন্ট রুনা খাতুন। আগত রোগীরা টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়িয়েছেন সেবা প্রাপ্তির আশায়। অন্যদিকে টিকিট না কেটে ডাক্তারের খোঁজ-খবর করছেন অনেকেই। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মমতাজ বিবি ও রুপালি বেগম, ছোটবেলালদহ গ্রামের ইসাহাক আলী মোল্লা বড়পই গ্রামের সাথী আক্তারসহ আরও অনেকে জানান, হাসপাতালে আগের মতো আর চিকিৎসাসেবা আমরা পাচ্ছি না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তারের দেখা পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে সেবা না নিয়েই অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। রোগীদের অভিযোগ, দু’একটি ট্যাবলেট ছাড়া তেমন ওষুধও পাচ্ছেন না তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, এ হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২১টি এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পদ রয়েছে ১৫টি। সব মিলিয়ে ৩৬ পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৩জন। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে কোন চিকিৎসক নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমান জানান, চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাত্র ৩জন চিকিৎসক দিয়ে আবাসিক ও জরুরী বিভাগের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। অসুস্থ কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও চিকিৎসকরা ছুটি পাচ্ছেন না। এটি তাদের জন্য চরম মনোকষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
×