ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুরাণ ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল গোডাউন পেলেই ট্রেড লাইসেন্স বাতিল : সাঈদ খোকন

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পুরাণ ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল গোডাউন পেলেই ট্রেড লাইসেন্স বাতিল : সাঈদ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পুরাণ ঢাকার কেমিক্যাল কোন দোকান ও গোডাউনে ঝুঁকিপূর্ণ ২৯টি কেমিক্যাল পাওয়া গেলে সাথে সাথেই লাইসেন্স বাতিল করে দোকান সিলগালা করে দেয়া হবে ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। মঙ্গলবার দুপুরে বাবুবাজার মিটফোর্ড এলাকায় কেমিক্যাল কারখানাগুলোর অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনকালে ব্যবসায়ীদের দোকানের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। একইসাথে যাদের কাছে কোন নিষিদ্ধ কেমিকেল পাওয়া যাবে না তাদেরকে সাথে সাথেই ট্রেড লঅইসেন্স প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ সময় তিনি নিয়ম মানায় ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে সাথে সাথেই ট্রেড লাইন্সে প্রদান করেন। মেয়র বলেন, ব্যবসায়ীরা কেমিক্যাল সেম্পল দোকানে রাখবেন আর গোডাউন অন্য কোন দুরের স্থানে রাখবেন। দোকানে ডিসপ্লের জন্য কেমিক্যাল রাখবেন। মেয়র বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে একমত হয়েছি যে, ২৯টি কেমিক্যাল অত্যন্ত দাহ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো থেকে যে কোনো সময় অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে। এই দাহ্য পদার্থগুলো যেসব দোকান বা গোডাউনে পাওয়া যাবে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে সেসব সিলগালা করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া, আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে সেসব ব্যবসায়ীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যালগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইথাইল অ্যালকোহল, ২-ইথাইল অ্যালকোহল, আইএসও প্রোপাইল অ্যালকোহল, এম ই কে, এম আই বি কে, থিনাইয়ার বি, ডাই এসিটোন অ্যালকোহল ইত্যাদি। সাঈদ খোকন জানান, এফবিসিসিআই, স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দসহ সবাই একমত হয়েছেন। যে কমিটি এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন তাদের সবাই সহযোগিতা করবেন। একই সাথে, নিয়ম মেনে ব্যবসা করলে সব ধরনের ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। পরিদর্শনের সময় যেসব দোকানে ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল পাওয়া যাবে না, তাদের তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য সহযোগিতা দেয়া হবে। দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, যে কেমিক্যালগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয় সেগুলো স্যাম্পল হিসেবে দোকানে সাজাবেন। অতিরিক্ত কেমিক্যাল বোঝাই করবেন না। যেগুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আশাপাশের বাসা-বাড়ি বা গোডাউনে না রেখে, একটু দূরে কোথাও গোডাউন করে রাখবেন। সেখান থেকে সাপ্লাই দেবেন। পরিদর্শনকালে রিপন পারফিউমারী এন্ড কেমিক্যাল, উম্মে হানি পারফিউমারী এন্ড কেমিক্যাল, মডার্ন পারফিউমারী এন্ড কেমিক্যাল, আমীন পারফিউমারী এন্ড কেমিক্যাল এবং সজিব কেমিক্যাল এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন করে দেয়া হয়। সাঈদ খোকন বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একমত হয়েছি যে, ২৯টি কেমিক্যাল অত্যন্ত দাহ্য। এগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এগুলো থেকে যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। এই দাহ্য পদার্থগুলো যেসব দোকান বা গোডাউনে পাওয়া যাবে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে সেসব দোকান বা গোডাউন সিলগালা করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া, আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে সেসব ব্যবসায়ীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিদর্শনের সময় যেসব দোকানে এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল পাওয়া যাবে না, তাদের তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য সহযোগিতা দেয়া হবে। যে কেমিক্যালগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয় সেগুলো স্যাম্পল হিসেবে দোকানে সাজাবেন। অতিরিক্ত কেমিক্যাল বোঝাই করবেন না। যেগুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আশাপাশের বাসা-বাড়ি বা গোডাউনে না রেখে, একটু দূরে কোথাও গোডাউন করে রাখবেন। সেখান থেকে সাপ্লাই দেবেন।
×