ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু ও মাতৃভাষা আন্দোলন

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বঙ্গবন্ধু ও মাতৃভাষা আন্দোলন

বাঙালীর সমাজ ইতিহাস পর্যালোচনায় যে বৈশিষ্ট্যটি সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য তা হলো নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা সোনার বাংলার সবুজ অবগাহন। এই বাংলার রূপ দেখার জন্য গভীর উপলব্ধি প্রয়োজন। চিন্তা-চেতনা ও ভাবনার প্রকৃতি আবিষ্কারে যেমন বিকশিত অন্তর অপরিহার্য, তেমনি তাকে ধারণ করার জন্য মাতৃভাষার অবদানও একই তাৎপর্যপূর্ণ। তাই মাতৃভাষায় আবেগ, ভালবাসা, শ্রদ্ধা সকল কিছুর উপস্থাপন সে ভাষার জনগোষ্ঠীর মাঝে অনবদ্য আত্মপ্রত্যয় ও আত্মবিশ্বাসের বিশাল অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করে। সকল কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক এবং সচেতন মহলে বুদ্ধিবৃত্তিক পরিচর্যার প্রধান বাহন হচ্ছে মাতৃভাষা। কবি জীবনানন্দ দাশ যদি মাতৃভাষা বাংলায় ‘রূপসী বাংলা’ প্রকাশ না করতেন তাহলে বাংলাকে এত সুন্দর করে দেখার তৃতীয় নয়ন কখনও কার্যকর হতো না। ‘তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও/আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব/দেখিব কাঁঠাল পাতা ঝরিতেছে/ভোরের বাতাসে/দেখিব খয়েরি ডানা শালিখের/সন্ধ্যায় হিম হয়ে আসে/ধবল লোমের নিচে তাহার হলুদ ঠ্যাং/ঘাসে অন্ধকারে নেচে চলে/একবার-দুইবার-তারপর/হঠাৎ তাহারে বনের হিজল গাছ/ডাক দিয়ে নিয়ে যায় হৃদয়ের পাশে ...’। এমন অপরূপ দ্যোতনা অন্য কোন ভাষায় প্রকাশ করা যায় কিনা আমার বোধগম্য নয়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী মহাকালের মহানায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু গভীর সেই অবারিত দৃষ্টিতে বাংলার স্বরূপকে উদঘাটন করতে পেরেছিলেন বলেই মাতৃভাষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অসাধারণ। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া বাংলার রাখাল রাজা যথার্থই অনুভব করেছিলেন মাতৃভাষার অধিকার আদায় ছাড়া জাতিকে মুক্ত পথের সন্ধান ও প্রদর্শনের অন্য কোন পন্থা নেই। বঙ্গবন্ধু লিখিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে প্রদত্ত বর্ণনা থেকে পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, ‘ফেব্রুয়ারি ৮ হবে ১৯৪৮ সাল’। সেদিন করাচীতে পাকিস্তান সংবিধান সভার বৈঠকে রাষ্ট্রভাষা নির্ধারণের আলোচনায় পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ সদস্যসহ মুসলিম লীগ নেতারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন। সেদিন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা বাংলাকে মর্যাদাসীন করার জন্য কুমিল্লার কংগ্রেস সদস্য বাবু ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় এক কূটপরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলা বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রচ- চক্রান্ত হচ্ছিল। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও তমদ্দুন মজলিশ বাংলা ও উর্দু দুই ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হলো। তখন প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় ভূমিকার কারণে মাতৃভাষা আন্দোলনের যে প্রতিবাদী প্রাণস্পন্দন প্রয়োজন ছিল, তার দৃশ্যমান সূচনা সুস্পষ্ট হয়। উপরোল্লিখিত দুটি সংগঠন যৌথভাবে সর্বদলীয় সভা আহ্বান করে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করে। এরই ফলস্বরূপ ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করা হয়। একই দিন রাষ্ট্রভাষার দাবিতে প্রথম হরতাল কর্মসূচীতে পুলিশী নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রতি বছর ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই আলোকে ১৯৪৯, ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালে ক্রমান্বয়ে দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করা হয়। উল্লেখ্য, ১১ মার্চের আন্দোলন ঢাকাসহ পূর্ব বাংলার সব জেলাতেই জাগরণ সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘আমি ফরিদপুর, যশোর হয়ে দৌলতপুর, খুলনা ও বরিশালে ছাত্রসভা করে ঐ তারিখের তিন দিন পূর্বে ঢাকায় ফিরে এলাম। দৌলতপুরে মুসলিম লীগ সমর্থক ছাত্ররা আমার সভায় গোলমাল করার চেষ্টা করলে খুব মারপিট হয়, কয়েকজন জখমও হয়। এরা সভা ভাঙতে পারেনি, আমি শেষ পর্যন্ত বক্তৃতা করলাম। এ সময় আবদুস সবুর খান আমাদের সমর্থন করছিলেন।’ মূলত পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম এই হরতাল কর্মসূচী এক নতুন মাত্রিকতায় এ দেশের জনগণের আন্দোলন-অনুভূতিকে শুধু উজ্জীবিত করেনি, এমন এক শক্ত ভিত তৈরি করে দিয়েছে যাতে তৎকালীন সরকার ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা চুক্তি করতে বাধ্য হয়। হরতালের দিন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় শতকরা প্রায় নব্বই ভাগ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে ইডেন বিল্ডিং, জেনারেল পোস্ট অফিস ও অন্যান্য জায়গায় পিকেটিং করার দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়। সচিবালয়ে পিকেটিং করা কালে প্রথম গেটে বঙ্গবন্ধু, শামসুল আলম, অলি আহাদ, দ্বিতীয় গেটে কাজী গোলাম মাহবুব, খালেক নওয়াজ, শওকত আলী প্রমুখ পিকেটিং করেন। অন্যসব স্থানে একই রকম পিকেটিং পরিচালনা করেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ও মির্জা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ পিকেটিং ও বিক্ষোভে অংশ নেয়া প্রায় সকল নেতা-কর্মী গ্রেফতার হন। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাঈমুদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে দাবি করেন যে, হরতাল চলাকালীন সময়ে মুসলিম লীগের ভাড়াটিয়া গু-া বাহিনীর হাতে প্রায় আঠারো জন গুরুতর এবং প্রায় দু’শ’ জন আহত হন। এ সময়ে নয়শ’ জনের মতো নেতা-কর্মীকে জেলবন্দী করা হয়। বঙ্গবন্ধুর বর্ণনামতে, “যে ওয়ার্ডে আমাদের রাখা হয়েছিল তার নাম চার নম্বর ওয়ার্ড। তিনতলা দালান। দেওয়ালের বাইরেই মুসলিম গার্লস স্কুল। যে পাঁচ দিন আমরা জেলে ছিলাম সকাল ১০টায় মেয়েরা স্কুলের ছাদে উঠে স্লোগান দিতে শুরু করত, আর চারটায় শেষ করত। ছোট্ট ছোট্ট মেয়েরা একটু ক্লান্তও হতো না। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, ‘বন্দী ভাইদের মুক্তি চাই’, ‘পুলিশী জুলুম চলবে না’- নানা ধরনের স্লোগান। এই সময় শামসুল হক সাহেবকে আমি বললাম, ‘হক সাহেব ঐ দেখুন, আমাদের বোনেরা বেরিয়ে এসেছে। আর বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা না করে পারবে না।’ হক সাহেব আমাকে বললেন, ‘তুমি ঠিকই বলেছ, মুজিব।” ১৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে বিখ্যাত আমতলায় অনুষ্ঠিত সভায় সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত আপোস চুক্তির সকল শর্ত অনুমোদিত হয়। বঙ্গবন্ধুসহ আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের হেয় প্রতিপন্ন করা ও ভারতের দালাল, কমিউনিস্ট ও রাষ্ট্রদ্রোহী ইত্যাদি বিরূপ বিশেষণে আখ্যায়িত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানাবিধ দোষারোপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। যদিও বঙ্গবন্ধুর মতে, সত্তর-পঁচাত্তর জন বন্দী ছাত্র এবং বিপুলসংখ্যক আহতদের মধ্যে একজনও হিন্দু ছিল না, তবুও এই রূপ বিরূপ অভিধায় অভিষিক্ত করে রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়ন-নির্যাতনের অপকৌশল অবলম্বনের সীমা-পরিসীমা ছিল না। এই প্রতিবাদ আন্দোলনে প্রাণ বিসর্জনকারী শহীদানের পরিণতি এবং মাতৃভাষা সংগ্রামের পূর্ণতায় রক্ত নন্দিত সেই মহান শহীদ দিবস ১৯৫২ সালের অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। জেলে বন্দী অবস্থায় অনশন শুরু করে বঙ্গবন্ধু মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার যে আমরণ পণ করেছিলেন, শত দুঃখ দুর্দশা-জেলে পুলিশ কর্তৃক জবরদস্তিমূলক নাকে নল দিয়ে পেটে খাবার ঢোকানের যে কঠিন যন্ত্রণার কথা বঙ্গবন্ধু বর্ণনা করেছেন তা কিন্তু যে কোন দেশপ্রেমিক মানুষকে না কাঁদিয়ে ছাড়তে পারে না। আজ বাংলা ভাষা স্বাধীন বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা অর্জন করেছে। এর পিছনে কত রক্ত এবং শহীদের আত্মত্যাগ তা বঙ্গবন্ধুর আবেগতাড়িত বর্ণনা থেকে বুঝা যায়। যেহেতু একমাত্র বাঙালী জাতি মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় সমগ্র বিশ্বে প্রাণ বিসর্জনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল যার ধারাবাহিকতায় বাঙালী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ, দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন মাতৃভূমি। এটিই স্বীকৃত হয়েছে বিশ্ব দরবারে। এ জন্যই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ও অবিস্মরণীয়। ১৯৫৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আইন পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খসড়া শাসনতন্ত্রের অন্তর্গত জাতীয় ভাষা সংক্রান্ত প্রশ্নে তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘পূর্ববঙ্গে আমরা সারকারী ভাষা বলতে রাষ্ট্রীয় ভাষা বুঝি না। কাজেই খসড়া শাসনতন্ত্রে রাষ্টের ভাষা সম্পর্কে যেসব শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে তা কুমতলবে করা হয়েছে। পাকিস্তানের জনগণের শতকরা ৫৬ ভাগ বাংলা ভাষায় কথা বলে, এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয় ভাষার প্রশ্নে কোন ধোঁকাবাজি করা যাবে না। পূর্ববঙ্গের জনগণের দাবি এই যে, বাংলাও রাষ্ট্রীয় ভাষা হোক।’ ১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেন- ‘শিল্পী, সাহিত্যিক এবং কবিদের জনসাধারণের আশা-আকাক্সক্ষা অবশ্যই প্রতিফলিত করতে হবে। তাঁরা তাদের মানুষ, মাতৃভূমি ও সংস্কৃতির জন্য শিল্পচর্চা করবেন। জনগণের স্বার্থে এবং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য সাহিত্যিকদের প্রাণ খুলে আত্মনিয়োগ করার জন্য আমি আবেদন জানাচ্ছি। আমি তাঁদের আশ্বাস দিচ্ছি, কবি এবং সাহিত্যিকদের সৃষ্টিশীল বিকাশের যে কোন অন্তরায় আমি এবং আমার দল প্রতিহত করবে। আজ আমাদের সংস্কৃতির সামনে কোন চক্রান্ত নেই, শাসন বা নিয়ন্ত্রণের বেড়াজাল নেই। শিল্পী সাহিত্যিকরা আর মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী ব্যক্তিবর্গের জন্য সংস্কৃতিচর্চা করবেন না। দেশের সাধারণ মানুষ, যারা আজও দুঃখী, যারা আজও নিরন্তর সংগ্রাম করে বেঁচে আছে, তাদের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখকে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উপজীব্য করার জন্য শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। রাজনৈতিক ক্ষমতা না পেলে সংস্কৃতিকে গড়ে তোলা যায় না। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক ক্ষমতা ছিল না বলেই বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ হয়নি।’ আজ সময় এসেছে, তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে শহীদানদের আত্মত্যাগ ও আত্মোসর্গের গৌরবগাথা পরিপূর্ণভাবে প্রোথিত করা। তারা যেন অনুধাবন করতে সক্ষম হয় কেন কীভাবে আমাদের এই মাতৃভাষা আন্দোলন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। নির্মাণ করেছে তাদের জন্য এক সোনালি স্বপ্নের। এ স্বপ্ন হচ্ছে পরিবর্তনের স্বপ্ন, আধুনিকতা, নান্দনিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবিকতায় হৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের নির্ভীক ও মেধাবী কারিগর দেশের পাঁচ কোটি ছিয়াত্তর লাখ তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ভরা বর্তমান প্রজন্ম যারা নতুন সহযাত্রীর জন্য তৈরি করবে জ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর এক উন্নত বাংলাদেশ। দেশ ও জাতির এটুকুই সময়ের প্রত্যাশা। লেখক : শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
×