ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আয়রণ ব্রিজ বিধ্বস্ত ॥ হাজার পরিবারের দূর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আয়রণ ব্রিজ বিধ্বস্ত ॥ হাজার পরিবারের দূর্ভোগ চরমে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মজিদপুর-কুমিরমারা গ্রামের সংযোগস্থলের এই আয়রণ ব্রিজটির বিধ্বস্ত দশায় পাঁচ গ্রামের সবজি চাষীসহ সাধারন মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। সবজি চাষ নির্ভর আশপাশের গ্রামের মানুষগুলো এখন বিপাকে পড়েছেন। সবজি নিয়ে চার-পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ঘুরতে হয়। সবজি বোঝাই নৌকাও এখন ব্রিজের নিচের খাল দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। এক কথায় দূর্ভোগের যেন শেষ নেই। কুমিরমারা-মজিদপুর গ্রামের সংযোগস্থলে এ ব্রিজটির অবস্থান। মজিদপুর, কুমিরমারা, ফরিদগঞ্জ, এলেমপুর, ছোট কুমিরমারা গ্রামের মানুষ এই পথে চলাচল করেন। গ্রামগুলোর শতকরা ৯৫ ভাগ কৃষক ১২ মাস সবজির চাষ করেন। এসব সবজিসহ রবিশস্য বাজারে নেয়ার পথে এ ব্রিজটি পার হতে হয়। কুমিরমারা গ্রামের চাষী সেলিম চৌধুরী জানান, ৬/৭ মাস ধরে তারা এমন বিপদে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন সবজি চাষীরা। উৎপাদিত সবজির বোঝা মাথায় করে খাল সাতরে নিতে হয়। সুলতান গাজী জানালেন, নৌকায় করে আগে পাখিমারা যেতে পারতেন। কিন্তু ব্রিজটি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখন আর পারেন না। ভোগান্তির শেষ নেই। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। কখনও কখনও অনেকের বাধ্য হয়ে নৌকায় পার হতে হয়। ছোট্ট, অথচ খুব প্রয়োজনীয় এ পথের ব্রিজটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন। ব্রিজটি মাঝখানের একটি আয়রণের খুটি ভেঙ্গে ব্রিজটি দেবে বাঁকিয়ে গেছে। কাঠের পাটাতন কাঁত হয়ে রয়েছে। পুরুষরা কোনমতে চলছে। কিন্তু মহিলারা পারছে না। ফলে পাঁচটি গ্রামের অন্তত এক হাজার পরিবারের ভোগান্তি চরমে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ জানান, ওই স্পটে একটি উন্নতমানের কালভার্ট করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়েছে। আর ভোগান্তি থাকবেনা।
×