ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এ নগর আপনার পরিচ্ছন্ন রাখুন

শুধু কান নষ্ট নয়, হচ্ছে নানান জটিল রোগ

প্রকাশিত: ১০:২৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

শুধু কান নষ্ট নয়, হচ্ছে নানান জটিল রোগ

রাজন ভট্টাচার্য ॥ রাজধানীর মুগদা বিশ্বরোড এলাকায় আইডিয়াল স্কুলের শাখা। মূল সড়ক ঘেঁষে স্কুলটির অবস্থান। নিয়ম অনুযায়ী স্কুলের সামনে উচ্চৈঃস্বরে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ইচ্ছেমতো হর্ন বাজানোর দৃশ্য চোখে পড়ে বুধবার সকালেও। স্কুলের ঠিক গেটের আগেই একটি ট্রাফিক সিগন্যাল। সিগন্যাল ছাড়তে একটু বিলম্ব মানেই চালকদের প্রতিযোগিতা করে হর্ন বাজানো শুরু! অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা পরিবেশ অসহ্য হয়ে ওঠে। ঝালাপালা হয় কান। চালকরা বলছেন, স্কুলের সামনে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ এ রকম কোন নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ড নেই। তাই অভ্যাস মতো হর্ন দেন তারা। বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে কমলাপুর স্কুল এ্যান্ড কলেজের চিত্র আরেকটু ভিন্ন রকমের। স্কুলের বারান্দা ও ক্লাসরুমের জানালা এক সময় খোলা থাকলেও এখন তা নেই। শব্দ দূষণ রোধে স্কুল কর্তৃপক্ষ বারান্দায় গ্রিল দিয়ে পুরুকাঁচ দিয়েছে। জানালার অবস্থাও একই রকমের। তবুও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এত কিছুর পরও শব্দের বিকট ছোঁয়া আছেই। একটু সচেতন হয়ে গাড়ি চালালে এই দূষণ রোধ সম্ভব বলেও মনে করেন পরিবহন চালকসহ সকলেই। কাকরাইল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ঠিক সামনের রাস্তাটি খুবই ব্যস্ততম। একদিকে ভিআইপি চলাচল। অন্যদিকে সাধারণ গাড়ির চাপ অনেক বেশি। স্কুলের দু’প্রান্তে শব্দ দূষণ কমাতে সতর্কবার্তা থাকলেও কেউ তা ভ্রুক্ষেপও করেন না। রাস্তাটিতে সব সময় সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরীতে শব্দ দূষণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার কিছুটা কমলেও উচ্চ মাত্রার শব্দের হর্ন ব্যবহার হচ্ছে বেশিরভাগ পরিবহনে। এতে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নাগরিকরা। শুধু তাই নয়, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে ২০০৬ সালের শব্দদূষণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও তা রয়েছে শুধু কাগজেকলমে। বিধি অনুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়ের সামনে এবং আবাসিক এলাকায় হর্ন বাজানো, মাইকিং করা সেই সঙ্গে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে জোরে শব্দ সৃষ্টি করা আইনত দন্ডনীয়। তবে সেই আইনের কোন প্রয়োগ নেই। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ার কারণেই শব্দ দূষণের ভয়াবহতা বাড়ছে বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। শব্দ দূষণ রোধে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর হিয়ারিং এ্যান্ড কমিউনিকেশন’ ১৯৯৬ সাল থেকে শব্দ সচেতনতা দিবস পালন করে আসছে। তবে বাংলাদেশে বেসরকারীভাবে দিবসটি পালন শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে। শাহবাগ মোড় থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তা হর্নমুক্ত ঘোষণা করা হলেও হর্ন বাজছে হরদম। বুধবার দুপুরে শাহবাগে যখন ট্রাফিক সিগন্যালের কারণে একপাশ বন্ধ তখন অন্যপাশে গাড়ির জটলা শুরু হয়। মেট্রো রেলের কাজের কারণে সড়ক সরু হওয়ায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। মাত্র দু’মিনিট সিগন্যাল বন্ধ থাকার পর বাস, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারের চালকরা একেবারেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। একযোগে চলে হর্ন বাজানো। তখন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে কানে আঙ্গুল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অথচ এই সড়কের দু’পাশে দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। জানতে চাইলে নিউ ভিশন বাসের চালক আলাল মিয়া জানালেন, হর্ন বাজালে ট্রাফিক দ্রুত সিগন্যাল ছাড়ে। তাই বাজাই। কিন্তু হাসপাতাল। তিনি বলেন, এসব বিষয় সম্পর্কে আমাদের কেউ কোনদিন কিছু বলেনি, জানাও নেই। প্রাইভেটকার চালক খালেদ জানালেন, ট্রাফিক সিগন্যাল দেয়ার পর কখন ছাড়তে হবে তা ভুলে যায়। মনে করিয়ে দিতেই হর্ন বাজাই! নানা রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা ॥ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শ্রবণযোগ্য শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল। তার পরও মানুষ অনায়াসে ৬০-৭০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা সহ্য করে যাচ্ছেন। এ মাত্রার বেশি শব্দ দূষণ হলে মানুষ ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন। ৮০ ডেসিবেলের অতিরিক্ত মাত্রার শব্দ মানুষের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। তথাপিও আমাদের তা শ্রবণ করতে হচ্ছে। এ ধরনের বিরতিহীন শব্দ দূষণের ফলে মানুষ শিরঃপীড়া, মানসিক অসুস্থতা, স্নায়ুবিক বৈকল্য, আত্মহত্যার প্রবণতা, আক্রমণাত্মক মনোভাবের উদ্রেক, হৃদরোগ, শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে। আকস্মিক উচ্চৈশব্দ মানবদেহে রক্তচাপ ও হৃদকম্পন বাড়িয়ে দেয়, মাংসপেশির সংকোচন করে এবং পরিপাকে বিঘ্ন ঘটায়। এছাড়াও শ্রবণশক্তি কমে আসে, বধির হওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়, মাথাব্যথা, বদহজম, অনিদ্রা, মনোসংযোগ কমে যাওয়া, খিটখিটে মেজাজ, বিরক্তিবোধ, এমনকি অস্বাভাবিক আচরণ করার মতো মনোদৈহিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। উচ্চৈশব্দ সৃষ্টিকারী হর্ন মোটরযানের চালককে বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে যান চালাতে উৎসাহিত করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে শিশু-কিশোরদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে শব্দ দূষণের তান্ডবে। শুধু মানুষই নয় জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রেও শব্দ দূষণ মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শব্দে কানের পর্দাও ফেটেছে ॥ উত্তরার বাসিন্দা রতন পন্ডিত জানালেন, প্রতিদিন অন্তত ১৫কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে অফিস করতে হয়। যাতায়াতে ৩০কিলোমিটার। এরমধ্যে যানজটের ধকল তো রয়েছেই। তিনি জানান, প্রায় চার বছর ধরে তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আগে কানে কোন ব্যথা না থাকলেও এখন রাস্তায় গাড়ি আর হর্নের বিকট আওয়াজ হলেই ব্যথা হয়। সপ্তাহে অন্তত চারদিন ব্যথা অনুভব করেন তিনি। খিলগাঁও থেকে নতুন বাজার অফিস করেন আবুল কাশেম। তিনি জানালেন, প্রয়োজন ছাড়া হর্নের ব্যবহার বেশি। তাছাড়া নগরীর চালকদের মধ্যে অস্থিরতার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ট্রাফিক সিগন্যাল থাকলেও বিকট হর্নের শব্দ, না থাকলেও হর্ন বাজানো স্বভাবে পরিণত হয়েছে। তিনি জানান, বিকট হর্নের কারণে কানের পর্দা ফেটে একাধিক দিন রক্ত ঝড়েছে। এখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি চলাফেরা করছেন। মতিঝিলে ট্রাফিক কনস্টেবল লিটন চৌধুরী বলেন, অনেক সময় হর্নের শব্দে কান ধরে রাখতে হয়। উচ্চ মাত্রায় হর্ন বাজানো চালকদের স্বভাবে রূপ নিয়েছে। তারা মনে করেন উচ্চ মাত্রা হর্ন বাজালে দ্রুত সিগন্যাল ছাড়া হয়। কিন্তু হর্নের কারণে আমাদের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সব ধরনের ইঞ্জিন চালিত পরিবহনই জোরে হর্ন বাজাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এতে জনসচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপারে মত দেন তিনি। সবখানেই মাত্রা ছাড়িয়ে শব্দ ॥ পরিবেশ অধিদফতরের হিসেব অনুযায়ী যে কোন শহরের আবাসিক এলাকার শব্দের মাত্রা দিনে সর্বোচ্চ ৪৫ ডেসিবেল এবং রাতে ৩৫ ডেসিবেল পর্যন্ত সহনীয়। অপরদিকে শয়নকক্ষের জন্য আলাদা পরিমাপ রয়েছে। সেটি ২৫ ডেসিবেলের ওপর অনুমোদিত নয়। অফিস- আদালতের ক্ষেত্রে ৩৫-৪০ এবং হাসপাতালের জন্য অনুমোদিত শব্দের পরিমাপ ধরা হয়েছে ২০-২৫ ডেসিবেল অথচ এসবের ধারেকাছেও নেই নগরীগুলোর শব্দের মাত্রা বরং বহুগুণ শব্দের তান্ডবে আক্রান্ত নগরীর মানুষ। এ পরিমাপ শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, এটি সব দেশ তথা বিশ্বের জন্যই প্রযোজ্য। ২০০৬ সালের শব্দদূষণ নীতিমালা অনুযায়ী ৫ ভাগে বিভক্ত এলাকায় সর্বোচ্চ শব্দসীমা নির্ধারণ করা হলেও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) গবেষণায় দেখা গেছে, সব এলাকায় শব্দ দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ সীমার থেকে দেড় থেকে দ্বিগুণ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ৩০টি জটিল রোগের অন্যতম উৎস শব্দ দূষণ। ক্রমাগত বাড়তে থাকা শব্দের মাত্রা আগামীতে অসুস্থ প্রজন্মের জন্ম দেবে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ লেলিন চৌধুরী বলেন, ক্রমাগত শব্দদূষণের ফলে কানের টিস্যুগুলো আস্তে আস্তে বিকল হয়ে পড়ে। তখন সে আর স্বাভাবিক শব্দ কানে শুনতে পায় না। শব্দদূষণের কুফল বিষয়ে জনসচেতনতার অভাব এবং শব্দদূষণ প্রতিরোধে যথাযথ প্রশাসনিক নজরদারি ও পদক্ষেপের ঘাটতির কারণেই এমনটি হচ্ছে। রাজধানীর বনানী আবাসিক এলাকাটি নীরব এলাকা হিসেবে পরিবেশ অধিদফতরে তালিকাভুক্ত হলেও এখানে যানবাহনের হর্নের শব্দে একস্থানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হয় না। গুলশান, ধানমন্ডি, শংকর, মোহাম্মদপুর, ইস্কাটনসহ সব আবাসিক এলাকার চিত্র একই রকমের। নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দের অভিযোগ সব এলাকার মানুষের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, মানুষের শব্দ গ্রহণের স্বাভাবিক মাত্রা ৪০-৫০ ডেসিবেল। পরিবেশ অধিদফতরের জরিপে দেখা যায় দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর শব্দের মানমাত্রা ১৩০ ডেসিবেল ছাড়িয়ে গেছে। শব্দ দূষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে উঠে এসেছে রাজধানীর পল্টন, শাহবাগ ও ফার্মগেট, মতিঝিল, রামপুরাসহ কয়েকটি এলাকার নাম। মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ১২ ভাগ মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে বলে পরিবেশ অধিদফতরের সাম্প্রতিক জরিপে উঠে আসে। সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ বিমানবন্দর এলাকায় ॥ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের এক জরিপে বলা হয়েছে, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ২০০৬ বিধিমালার আওতায় নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক বা শিল্প এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম করতে পারবে না। কিন্তু আইন ও বিধিবিধান থাকলেও সেগুলোর প্রয়োগ না থাকায় রাজধানীতে শব্দ দূষণের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজধানীর শব্দ দূষণ নিয়ে পবা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা মহানগরীর ৪৫টি স্থানে শব্দের মাত্রা পরিমাপ করে। নীরব এলাকায় দিবাকালীন, আবাসিক এলাকায় দিবাকালীন ও রাত্রিকালীন, মিশ্র এলাকায় দিবাকালীন ও রাত্রিকালীন এবং বাণিজ্যিক এলাকায় দিবাকালীন সময়ে শব্দের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। এছাড়া বাসের ভেতর, সামনে ও পেছনে শব্দের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নীরব এলাকায় দিনেরবেলা শব্দের মাত্রা মানমাত্রার চেয়ে দেড় থেকে দুই গুণ, আবাসিক এলাকায় দিনেরবেলা শব্দের মাত্রা দেড় গুণ ও রাতে শব্দের মাত্রা দেড় থেকে প্রায় দুই গুণ, মিশ্র এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা দেড় গুণ ও রাতে শব্দের মাত্রা দেড় থেকে দুই গুণের বেশি। এছাড়া বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা মানমাত্রার চেয়ে দেড় গুণ বেশি। নীরব এলাকায় দিনেরবেলা শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি ইডেন মহিলা কলেজের সামনে, ১০৪ দশমিক ৪ ডেসিবেল। মিশ্র এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি পল্টনে ১০৫ দশমিক ৫ ডেসিবেল। আর রাতে শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি কলাবাগানে ১০৬ দশমিক ৪ ডেসিবেল। অন্যদিকে বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ১০৮ দশমিক ৯ ডেসিবেল। ১৯৯৭ সালের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকার নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এসব জায়গায় মোটরগাড়ির হর্ন বাজানো বা মাইকিং করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ এ আইনের তোয়াক্কা করে না কেউ। শব্দদূষণকারীদের জন্য অর্থদন্ড ও কারাদন্ড দেয়ার বিধান থাকা সত্ত্বেও এর কোন প্রয়োগ দৃশ্যমান নয়।
×