ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকান্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকান্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

অনলাইন রির্পোটার ॥ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার চকবাজার এলাকার একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় অন্তত ৭০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। এ ছাড়া তিনটি হেলিকপ্টার দিয়ে উপর থেকে পানি দেয়া হয় আগুন নেভানোর জন্য। লালবাগ শাহী মসজিদের পেছনের চুড়িহাট্টার ওই ভবনে বুধবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী সাংবাদিকদের জানান, "এখন পর্যন্ত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। যেহেতু এখানে কেমিক্যাল গোডাউন, প্রচুর রাসায়নিক পদার্থ ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আশঙ্কা ছিল আশপাশে আরও বেশি ছড়িয়ে যাওয়ার।" ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্নেল জুলফিকার বলছেন, এক একটি ব্যাগে একাধিক লাশ থাকতে পারে। তিন বলছেন, ভেতরে আরো অনেক লাশ থাকতে পারে। হাসপাতালে যেসব আহত মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে অগ্নিদগ্ধ এবং বাকিদের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত নামতে জখম হন অনেকে। লাফিয়ে নামতে গিয়ে হাত-পাও ভেঙেছেন কেউ কেউ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত আরও অনেকে আসছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক কর্মীসহ অনেকেই এখানে কাজ করছেন। ইনশাআল্লাহ অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এই আগুন নেভাতে সক্ষম হব। নগরবাসী, দেশবাসী সবার দোয়া চাচ্ছি, যাতে করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারি। এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা। যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার পর আমরা ঘটনার তদন্ত করব। কেন, কিভাবে আগুন লেগেছে সে সম্পর্কে জানাতে পারব। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আগুন লাগার পর থেকেই পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৩৫টি ইউনিটের দুইশতাধিক ফায়ার ফাইটার্স কাজ করছে। এই জায়গাটা আসলে সংকীর্ণ, আমাদের পানির সঙ্কট হয়েছিল। এখানে বিভিন্ন ধরণের ক্যামিকেল আছে। আমরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি। আগুনের সুত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত। এখানে এখন বিদ্যুত নেই। আমরা জেনারেটর লাগাব। তারপর সার্চ করে দেখব ভেতরে কোনো মরদেহ আছে কিনা। আমাদের ধারণা মরদেহ থাকতে পারে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমি বাসায় ছিলাম, আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আমার ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। এখানের অলিতে গলিতে বিভিন্ন ধরণের মালামাল ছিল। প্রায়সবই পুড়ে গেছে।
×