ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়ে সারাদেশে ভাষা শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতাদের। চট্টগ্রাম অসাম্প্রদায়িক সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে যথাযোগ্য আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে সরকারী, আধা সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থা এবং সংগঠনের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচী ছিল। দিবসের প্রথম প্রহর থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত জনস্রোত ছিল শহীদ মিনারমুখী। ফুলে ফুলে ঢাকা পড়ে শহীদ বেদি। বিকেলে ছিল আলোচনা সভা। কালো ব্যাজ ধারণ ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনের বীর শহীদদের। দিবসের প্রথম প্রহর বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। সেখানে একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সরকারী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ভোর থেকে জনস্রোত এতই বেশি হয় যে, নন্দনকানন, নিউমার্কেট, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক ও লালদীঘি পাড় এলাকায় লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম এবং জেলা পর্যায়ের নেতারা। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেন, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা এবং প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তারাও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, খেলাঘর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়সহ বিভিন্ন সংগঠন। এছাড়া চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনির্ভাসিটি (সিভাসু) এবং প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এদিন বিশেষ কর্মসূচী ছিল। স্কুলগুলোতে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ছিল প্রভাত ফেরি, চিত্রাঙ্কন, দেশের গান, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮টার দিকে ‘স্মরণ চত্বর’ থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বের হয় প্রভাত ফেরি। চবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এরপর উপাচার্য সকলকে সঙ্গে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগেও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রাক্কালে উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বের ইতিহাসে একটি অনন্য ও অসাধারণ দিন। খুলনা প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে অবস্থিত শহীদ মিনারে হাজারো মানুষের ঢল নামে। কালো ব্যাজ ধারণ করে রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারী দফতর ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শুরু হয়। প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদদের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে খুলনা সিটি কর্পোরেশন, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল, খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। সকালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে বহু মানুষ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালে কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। রাজশাহী ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে নানা কর্মসূচীতে পালিত হয়েছে অমর একুশে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা প্রচলনের দাবি জানানো হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাত ১২টা ১ মিনিটে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক হবিবুর রহমানসহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার ও রাজশাহী পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ। এছাড়া একুশের প্রথম প্রহরে রাজশাহীর বিভিন্ন শহীদ মিনারে সর্বশ্রেণীর মানুষের ঢল নামে। ভোর পেরিয়ে সকাল হতেই নানান রঙের ফুলে ভরে উঠে শহীদ বেদি। অমর একুশে স্মরণে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন প্রভাত ফেরি বের করে। অমর একুশের কর্মসূচীর মধ্যে রাত ১২টা ১মিনিটে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারী- সেরকারী এবং আধা সরকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। রংপুর প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রংপুর সিটি কর্পোরেশন, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। সকাল ৬টা থেকে আসতে থাকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শোক র‌্যালি। তারা বেলা ১১টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনার জয়নুল বারী । অপরদিকে, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৯ উদ্যাপন করা হয়েছে। প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার-এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ময়মনসিংহ দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহর থেকেই সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনারগুলোতে। রাত ১২টা ১ মিনিটে টাউন হল চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদ এমপি। এরপর বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান, ডিআইজি-ময়মনসিংহ রেঞ্জ নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ইকরামুল হক টিটু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা কর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। বরিশাল বৃহস্পতিবার রাত বারোটা এক মিনিটে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি। এ সময় তার সঙ্গে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, সংসদ সদস্য শাহে আলম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, পুলিশ সুপার, আনসার ভিডিপি, কেন্দ্রীয় কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ফেনী রাত ১২টা ১ মিনিটে ফেনী শহীদ মিনারে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রেসক্লাব, হার্ট ফাউন্ডেশন, ডায়াবেটিক সমিতি, রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ভোরে অনেক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। ভাষা শহীদ আবদুস সালামের গ্রামের বাড়ি দাগনভুঞা থানার সালামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শহীদ সালামের পরিবার ও জেলা প্রশাসন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা, গণপূর্ত, এলজিইডি, উপজেলা পরিষদ, হরগঙ্গা কলেজ, ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল এ্যান্ড কলেজ, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, লেডিস ক্লাব, হরেন্দ্র লাল পাবলিক লাইব্রেরী, মুন্সীগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি, মুন্সীগঞ্জ এপেক্স ক্লাব, বিক্রমপুর এপেক্স ক্লাব, মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এতে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মহিউদ্দিন, এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএমসহ (বার) বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। এদিকে চিত্রাঙ্কন, রচনা, আবৃত্তি ও বিতর্কসহ নাটক উপস্থাপিত হয়। তাছাড়া লৌহজং, শ্রীনগর, সিরাজদিখান, টঙ্গীবাড়ি ও গজারিয়াসহ ৬টি উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের সব আয়োজন শুরু হয় প্রথম প্রহর থেকেই। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল হক এমপি। দলের জেলা সহ-সভাপতি জসীম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, মফিজুর রহমান বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম রতন প্রমুখ। এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে কুমিল্লা টাউন হল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সরকারী-বেসরকারী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন এবং পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, সিভিল সার্জন ডাঃ আমিনুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ম-ল পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর একে একে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, প্রেসক্লাবসহ সাধারণ জনতার ঢল নামে শহীদ মিনার চত্বরে। পরে শহীদের আত্মার মাগফিরাত করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সকালে সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী,বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনার চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা, উত্তোলন করা হয়। শহীদ মিনারে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করে। মেহেরপুর প্রথম প্রহরে মেহেরপুর শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক আতাউল গনি ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমার। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম রসুল, আবদুল হালিম ও যগ্মসম্পাদক এ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহীন শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। খাগড়াছড়ি প্রথমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্ক ফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, তিন পার্বত্য জেলা থেকে নির্বাচিত সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, বিশেষায়িত আমর্ড পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি আরঙ্গজেব মাহবুব, পুলিশ সুপার মোঃ আহমার উজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারী দফতর, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বগুড়া রাত ১২ টা ১ মিনিটে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনসহ সকল রাজনৈতিক দল, শিশু সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ভবন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়। ভোর থেকে নগরীর চারদিক থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রভাত ফেরি শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে ফুলের শ্রদ্ধা জানায়। শিশুদের হাতে একুশের চেতনায় বাংলা ভাষাকে সম্মান জানানোর ফেস্টুন শোলার বড় হরফে ২১ লেখা দেখা যায়। সকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আলোচনা সভা এবং বিকেলে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, সরকারী আজিজুল হক কলেজ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে কর্মসূচী পালন করে। সকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা সভা হয়। সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। নীলফামারী রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাত সাড়ে ১২টায় শহীদ মিনার চত্বরে ভাষা আন্দোলনের ওপর পোস্টার, পুস্তক ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এদিকে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, টিআইবি, সনাক, উদীচী, ভাওয়াইয়া একাডেমি, পিটিআই, সরকারী কলেজ, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জেলা যুবলীগ, কৃষক লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ প্রভাত ফেরি বের করে। ঠাকুরগাঁ একুশের প্রথম প্রহরে ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, প্রেসক্লাব, উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন একে একে শহীদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধা জানায়। পরে তারা ভাষা সৈনিক ও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দবিরুল ইসলামের স্থানীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুলশ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও অনেকে শিশুদের হাতের সুন্দর লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। ভোলা একুশের প্রথম প্রহরে ভোলা সরকারী বিদ্যালয় মাঠে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কয়েক হাজার মানুষ। বুধবার রাত ১১টা বাজতেই ভোলা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় করতে থাকে শহীদ মিনারে। মাথায় বাঁধা ছিল জাতীয় পতাকা, একুশে ফেব্রুয়ারি লেখা ফিতা। বুকে সাঁটা ছিল কালো ফিতা। আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা। ১২টা এক মিনিট বাজতেই প্রথমেই পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন, ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশারেফ হোসেন, ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ, টুটুল মেমোরিয়াল ক্লাব, কোস্টগার্ড, সরকারী বিভিন্ন দফতর, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। হবিগঞ্জ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে ডিসি মাহমুদুল কবীর মুরাদ, এসপি মোহাম্মদ উল্ল্যা ও বৃন্দাবন সরকারী কলেজ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক), প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মহিলা কলেজ এবং আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠন, নানা রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পাবনা রাত ১২ টা ১ মিনিটে এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দীন ও পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়াকার্স পার্টি, গণশিল্পী সংস্থা, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ড্রামা সার্কেল, এডওয়ার্ড কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল, বাংলাদেশ নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন, টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সরকারী বাণিজ্যিক কলেজ, আইন কলেজ, কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ, জেলা স্কুল, প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। গাইবান্ধা প্রথম প্রহরে পৌর শহীদ মিনারে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি প্রথম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দেয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রভাতফেরি বের হয়ে সকালে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা শিশু একাডেমি শিশুদের সুন্দর হাতের লেখা, চিত্রাংকন, ভাষার গান এবং মাতৃভাষার ওপর রচনা ও কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ফরিদপুর প্রথম প্রহরে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাস শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোখসানা রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রোকমান হোসেন মৃধা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা প্রমুখ। বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফরিদপুর পৌরসভা, ফরিদপুর জিলা স্কুল, ফরিদপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, ফরিদপুর টাউন থিয়েটার, বিএনপি, সিপিবি, সানরাইজ প্রি-ক্যাডেট স্কুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করা হয় প্রভাতফেরি। নওগাঁ রাত ১২ টা ১ মিনিটে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন, নওগাঁ সদর আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবি, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিভিল সার্জন অফিস, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রেসক্লাব, ভাষাসৈনিক ডাঃ মঞ্জুর হোসেনের পরিবারবর্গ, চেম্বার অব কমার্স, একুশে পরিষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, জেলা অধ্যক্ষ সমিতি, কার ও মাইক্রো চালক সমিতি, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। নওগাঁ সদর আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রভাতফেরি, দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা ও আব্দুল জলিলের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে। এছাড়া জেলার আত্রাই, ধামইরহাট, মান্দা, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহারসহ সকল উপজেলায় অনুরূপ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বাগেরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস এবং পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ, প্রেসক্লার, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা পরিষদ, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, সংলাপ সাহিত্য আসর, টিআইবি-সনাকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সরকারী-বেসকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। রাতের প্রহরেই হাজার হাজার মানুষ শহীদ মিনারে এসে সমবেত হন। দিবসের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রভাতফেরি অনুষ্ঠিত হয়। শাহজাদপুর স্থানীয় সরকারী কলেজ চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রভাত ফেরি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শাহজাদপুর সরকারী কলেজে ৩ ব্যাপী বইমেলা আয়োজন করা হয়। একুশের প্রথম প্রহরে প্রয়াত ভাষা সৈনিক ডাঃ আলী আজমল বুলবুলের কবরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উল্লেখ্য, এই ভাষা সৈনিক তৎকালীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পটুয়াখালী রাত ১২টা ১ মিনিটে পটুয়াখালী পৌরসভা কম্পাউন্ডে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পাদদেশে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিবসের সূচনা করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন, পৌর মেয়র ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর। এরপর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, সিপিবি, গণফোরাম, প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ। নারায়ণগঞ্জ নগরীসহ জেলার ৫ উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। প্রথম প্রহরে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সর্বস্তরের মানুষের ভিড় করে। রাত ১২টার পরেই শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শামীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ (ডিবি) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) মোঃ মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকলে শহীদ মিনারে ফুলের শ্রদ্ধা জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদসহ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর যুবদল, জাতীয়পার্টি, জেলা আওয়ামী যুবলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল শহীদদের সম্মানে রাষ্ট্রীয় সালাম জানান। এছাড়াও দিনটি পালনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচী পালিত হয়। টাঙ্গাইল প্রথম প্রহরে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। পরে টাঙ্গাইল পৌরসভা, প্রেসক্লাব, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া একুশের প্রথম প্রহরে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য মোঃ আলাউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রদীপ প্রজ্বলন করে দিবসের সূচনা করেন নেত্রকোনা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান। পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর রাতে ও সকালে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সিপিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, উদীচী, শতদল, স্বাবলম্বী, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দফতর, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। সকালে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাতফেরি। জয়পুরহাট ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য এ্যাড. সামছুল আলম দুদু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, প্রেসক্লাব, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। লক্ষ্মীপুর রাত ১২টা ১ মিনিটে পদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক বিমানমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল ও জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। এরপর পর্যায়ক্রমে শহীদ বেদিমূলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, পুলিশ সুপার আ. স. ম মাহাতাব উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা, যুবলীগ, প্রেসক্লাব, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গসংগঠন, লক্ষ্মীপুর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন পাঠান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তফা খালেদ আহম্মদ, বিএমএ সভাপতি ডাঃ আশফাকুর রহমান মামুনসহ সরকারী-বেসরকারী সংস্থা, পেশাজীবী সংগঠন, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। রাবি বৃহস্পতিবার ভোরে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। এর আগে রাত ১২টা ০১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক চৌধুরী মোঃ জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। পরে সেখানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দৌলতপুর, কুষ্টিয়া রাত ১২.০১টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন উপজেলা পরিষদ চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এরপর দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, উপজেলা প্রশাসন, দৌলতপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, দৌলতপুর থানা পুলিশ, দৌলতপুর আওয়ামী লীগ, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাকৃবি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রভাতফেরি বের করা হয়। প্রভাতফেরি শেষে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আকবর। এরপর শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষক সম্মেলন কক্ষে ‘একুশের চেতনায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাবি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোঃ আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, অনুষদ ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, অফিসার, কর্মচারী, ছাত্রনেতৃবৃন্দ উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ক্লাব, শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি, জাবি প্রেসক্লাব, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, হল প্রভোস্ট, ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন বিভাগ এবং অন্যান্য সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
×