ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুবাইয়ে হ্যালেপ-কেভিতোভার জয়

প্রকাশিত: ১২:১৯, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

দুবাইয়ে হ্যালেপ-কেভিতোভার জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট কেটেছেন সিমোনা হ্যালেপ, পেত্রা কেভিতোভা, বেলিন্ডা বেনচিচ এবং ক্যারোলিনা পিসকোভা। তবে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছেন জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবার। উইম্বলডনের বর্তমান চ্যাম্পিয়নকে বিদায় করে দুবাইয়ের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছেন সিয়েহ। বর্তমান বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড় নাওমি ওসাকা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর দুবাইয়েই প্রথমবার কোর্টে নামেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। নিজের প্রথম ম্যাচেই হেরে যান জাপানের এই তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়। ওসাকার পর হ্যালেপ-কেভিতোভা-পিসকোভা কিংবা কারবারের দিকেই আলাদা করে নজর রাখেন টেনিসপ্রেমীরা। দ্বিতীয় বাছাই পেত্রা কেভিতোভা ঘাম ঝরিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট কেটেছেন। বুধবার চেক প্রজাতন্ত্রের এই টেনিস তারকা ৭-৫, ১-৬ এবং ৬-৩ গেমে পরাজিত করেন আমেরিকার জেনিফার ব্র্যাডিকে। চেক তারকা ২০১৩ সালে এই টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলেন। এরপরের সময়টাতে দুবাইয়ে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। তবে নতুন মৌসুমের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছেন তিনি। সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েই ২০১৯ সাল শুরু করেন কেভিতোভা। এরপর খেলেন মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের ফাইনালও। কিন্তু জাপানের ওসাকার কাছে হেরে যান তিনি। তবে হারলেও লড়াই করেন ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। ওসাকার মতো কেভিতোভাও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর দুবাইয়ে প্রথমবার কোর্টে নামেন। প্রথম দুই ম্যাচেই জয়ের জন্য ঘাম ঝরেছে দুই নম্বর তারকার। বুধবার অবশ্য তার সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাতাস। জেনিফার ব্র্যাডিকে হারানোর পর নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের বাতাস ভয়ঙ্কর হয়ে এসেছিল। বাতাসের বিরুদ্ধে গিয়ে খেলাটা সত্যিই খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। মোটেও সার্ভ করতে পারছিলাম না। জেনিফার বিপক্ষে যথেষ্ট সংগ্রাম করতে হয়েছে।’ টুর্নামেন্টের তৃতীয় বাছাই সিমোনা হ্যালেপ এদিন ৬-৩ এবং ৭-৫ গেমে উড়িয়ে দিয়েছেন লেসিয়া সুরেঙ্কোকে। প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দারুণ খুশি রোমানিয়ান তারকা। ম্যাচের শেষে জানালেন এই মুহূর্তে ক্যারিয়ারের শীর্ষ স্থানের খুব কাছাকাছি পর্যায়ে অবস্থান করছেন তিনি। ২০১৫ সালে দুবাইয়ের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। এবার তার সামনে শিরোপা পুনরুদ্ধারের কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই পথে কোয়ার্টার ফাইনালে হ্যালেপের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ডের বেলিন্ডা বেনচিচ। পারবেন কী সেই বাধা অতিক্রম করতে? সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। এদিকে আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে মাদ্রিদ ওপেন। আর সেই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে ক্লে কোর্টে ফিরছেন রজার ফেদেরার। ২০১৬ সাল থেকে ক্লে কোর্ট মৌসুমে বিশ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফেদেরার। কিন্তু ২০ বারের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী এই সুইস সেনসেশন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে বিদায়ের পর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রেড সার্ফেসে এ বছর তিনি আবারও খেলতে চান। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের সাবেক এই শীর্ষ খেলোয়াড় মাদ্রিদে খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফিরে আসার প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই মাদ্রিদে খেলতে চান বলে ফেদেরার জানিয়েছেন। এ সম্পর্কে মাদ্রিদ ওপেনের পরিচালক ফেলিসিয়ানো লোপেজ বলেন, ‘ফেদেরার সর্বকালের সেরা একজন খেলোয়াড়, এতে কোন সন্দেহ নেই। মাদ্রিদে তার ফিরে আসা টুর্নামেন্টের জন্য একটি উপহার, আমরা দারুণ খুশি। বিশেষ করে এখানকার সমর্থকরা আবারও ফেদেরারের খেলা উপভোগ করতে পারবে যা সত্যিই অসাধারণ এক অনুভূতি। সুইস এই খেলোয়াড়ের ক্লে কোর্টে ফিরে আসার অর্থ হচ্ছে নোভাক জোকোভিচ ও রাফায়েল নাদাল আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন।’ মাদ্রিদ ওপেনের সভাপতি মানোলো সান্তানা বলেন, ফেদেরারের উপস্থিতি এ বছর এই টুর্নমেন্টকে ‘স্পেশাল’ করে তুলবে। সে এখনও যে ফর্মে আছেন তাতে ৩৭ বছর বয়স কোন অর্থ বহন করে না। সর্বশেষ ২০১২ সালে মাদ্রিদ ওপেন জয় করা ফেদেরার এ পর্যন্ত স্প্যানিশ টুর্নামেন্টের তিনটি শিরোপা জয় করেছেন।
×