ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করতে চাইছে ইসলামাবাদ

প্রকাশিত: ১২:২৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করতে চাইছে ইসলামাবাদ

পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা কমাতে ব্যাক চ্যানেল ব্যবহার করতে চাইছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান তাদের বন্ধুরাষ্ট্র ও প্রভাবশালী দেশের সাহায্যে আলোচনার মাধ্যমে পরমাণু সমৃদ্ধ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করছে। ইসলামাবাদের এই পদক্ষেপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে আসা সৌদি যুবরাজ মঙ্গলবার ভারত সফরে যান। পাকিস্তান থেকে বিদায়ের সময় তিনি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছ থেকে মোদির উদ্দেশে একটি বিশেষ বার্তা নিয়ে যান। ওই বার্তায় ইসলামাবাদ জানায়, পুলওয়ামা হামলার ঘটনা তদন্তে ইসলামাবাদ সম্ভাব্য সকল প্রকার সহায়তা দিতে প্রস্তুত। পাকিস্তান সফরকালে মোহাম্মদ বিন সালমান ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার কথা বলেন এবং ভারতকেও তিনি একই কথা বলেন বলে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সূত্রগুলোর ধারণা। খবর এনডিটিভি, বিবিসি, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। সূত্র আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশও উত্তেজনা প্রশমনে উভয় দেশের সরকারকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার পর জঙ্গী নেতা মাওলানা মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘের জঙ্গী তালিকায় আনার দাবি তোলা হয়। সেই দাবির আরও একধাপ বাড়িয়ে সৌদি আরব ও ভারতের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জঙ্গী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদকেও জাতিসংঘের জঙ্গী তালিকায় আনতে হবে। একই সঙ্গে সীমান্ত সন্ত্রাস রুখতে ও জঙ্গী সংগঠনগুলোর আর্থিক সহায়তা প্রদানও বন্ধ করতে হবে। বুধবার যৌথ বিবৃতি প্রকাশের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদকে সহায়তা করে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হবে। এদিকে কাশ্মীরে জঙ্গী হামলার পর ভারতের নানা জায়গায় কাশ্মীরী লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। কলকাতায় বুধবার হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক কাশ্মীরী চিকিৎসক। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করে ওই চিকিৎসক জানান, তিনি গত কুঁড়ি বছর ধরে কলকাতায় চিকিৎসা পেশার সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনা প্রকাশের পর রাজ্য সরকার ও চিকিৎসকের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সম্প্রতি কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্তিপুরা এলাকায় ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৭৮টি গাড়ি লক্ষ্য করে জঙ্গী হামলা চালানো হয়। হামলায় সিআরপিএফ’র ৪০ সদস্য নিহত এবং কয়েকজন সদস্য আহত হন।
×