ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়াসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি

সরকারের দায়িত্বহীনতায় চকের এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১২:৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সরকারের দায়িত্বহীনতায় চকের এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থাপনায় রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং এত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। বৃহস্পতিবার সকালে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদ শফিউর রহমান ও আবুল বরকতের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন। সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যিনি গণতন্ত্রের মাতা, যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন সেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শেষ বয়সেও মিথ্যা মামলায় কারাগারে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা এদিনে তার মুক্তির দাবি করছি। এ ছাড়া গণতন্ত্রের হাজারো সৈনিক যাদের মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মামলা প্রত্যাহারসহ মুক্তি চাই। মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে। আজকে সব জায়গায় মানুষ অকারণে জীবন হারাচ্ছে। এর কারণ সরকারের দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থা। রাষ্ট্র পরিচালনায় তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সঠিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার সদিচ্ছা এ সরকারের নেই। তারা যে কোনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। জনগণের প্রতি এ সরকারের নেই কোন দায়বদ্ধতা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, চকবাজারে দুর্ভাগ্যবশত যে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে আর সেই অগ্নিকা-ে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার হনন করে ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে, সে নির্বাচন বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় নির্বাচন চাই। ফখরুল বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য দিন। ’৫২ সালের এদিনে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় পরিণত করার জন্য আমাদের অকুতোভয় সন্তানরা প্রাণ দিয়েছিলেন। রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছিলেন এবং সেদিনই রচিত হয়েছে আমাদের মুক্তির চেতনার বীজ। এরপর ’৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন ভূখ- লাভ করি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, চরম দুর্ভাগ্য ও ক্ষোভের বিষয় আমাদের বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের যে চেতনা তা আজ ভূলুণ্ঠিত। মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্রের ও বাক স্বাধীনতার; সে স্বাধীনতা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়েছে। দেশ এখন একটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যা এ দেশের কারো কাক্সিক্ষত নয়। পরে আজিমপুর কবরস্থানে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্র হরণ করে একুশের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করেছে। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তাবিথ আউয়াল, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী, হারুনুর রশীদ হারুন, আমিরুজ্জামান শিমুল, ফরহাদ হোসেন আজাদ, কাজী আবুল বাশার, মুন্সী বজলুল বাসিত আনজু, আহসানুল্লাহ হাসান, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ইয়াসীন আলী, হেলেন জেরিন খান, আনোয়ার হোসেইন, নুরুল ইসলাম নাসিম, শাহ নেসারুল হক, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, আবুল কালাম আজাদ ও হেলাল খান।
×