ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চকবাজারে নিশ্চিতভাবেই কেমিক্যাল ছিল ॥ ডিএসসিসি

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চকবাজারে নিশ্চিতভাবেই কেমিক্যাল ছিল ॥ ডিএসসিসি

অনলাইন রির্পোটার ॥ পুরান ঢাকার চকবাজারের হাজী ওয়াহেদ ম্যানসনে নিশ্চিতভাবেই কেমিক্যাল ছিল বলে জানিয়েছে আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে গঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কমিটি। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় হাজী ওয়াহেদ ম্যানসন পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেন, এই ভবনে আগুন নেভানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এর আগে, বৃহস্পতিবার ওয়াহেদ ম্যানসন পরিদর্শন শেষে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছিলেন, এই ভবনে কেমিক্যালের কোনো গোডাউন ছিল না। শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনেও একই দাবি করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেন, ‘এই ভবনে অবশ্যই কেমিক্যাল ছিল। এখানকার যে পাউডার, সেগুলো কেমিক্যাল। এখানে যেসব প্লাস্টিকের বোতল পাওয়া গেছে, সেগুলোও কেমিক্যাল। যিনি বলেছেন এখানে কোনো কেমিক্যাল ছিল না, সে কথাটি সত্য নয়।’ আজ সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) গঠিত ১১ সদস্যের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিটির সদস্য রাজউক কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জহির জানান, চকবাজারে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউকের) অনুমোদিত কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। সরকারি ছুটির কারণে কাগজপত্র দেখা সম্ভব হয়নি। ভবনের সঙ্গে ভবন লাগোয়া থাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনাকে (সাংবাদিক) বুঝতে হবে এটা পুরান ঢাকা। এখানে অনেক আগে থেকেই ভবন তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজউক অনেকদিন ধরে কাজ করছে। তবে সবার আগে দরকার সচেতনতা। এভাবে ভবন নির্মাণের নিয়ম নেই বলেও জানান তিনি। কেমিক্যালের কারণেই আগুন ছড়িয়েছে: ফায়ার সার্ভিস অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনগুলোতে কেমিক্যালের উপস্থিতি ছিল কি না এ নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় ও ডিএসসিসি তদন্ত কমিটি পৃথক বক্তব্যের মধ্যে আবারও কেমিক্যালের উপস্থিতির কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার সকালে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কমিটির সদস্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ভবনের ভেতরে গ্যাস লাইটার রিফিলের পদার্থ ছিল। এটা নিজেই একটা দাহ্য পদার্থ। এছাড়া আরও অন্যান্য কেমিক্যাল ছিল। প্রত্যেকটা জিনিসই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছে। পারফিউমের বোতলে রিফিল করা হতো এখানে। সেই বোতলগুলো ব্লাস্ট হয়ে বোমের মতো কাজ করেছে।
×