অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাভোগ শেষে ২৬ নারী ও শিশু দেশে ফিরেছেন।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাসার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাদের হস্তান্তর করে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত আসারা হলেন- নড়াইলের আসমা খাতুন, মুছকান বেগম, সোহানা আবিদ, মুন্নি আক্তার, সুমি আক্তার, মাহামুদা বেগম, খুলনার খুশি গাজি, লাবনি আক্তার, রাফিজা বেগম, রেহেনা আক্তার,ইতি খাতুন, সাবানা ইব্রাহিম, বৃষ্টি আক্তার, ময়মনসিংহের লিজা খাতুন, হালিমা আক্তার, শরিফা আক্তার, ঠাকুরগাঁওয়ের পারুল বেগম, রাজবাড়ির সীমা আক্তার, গাজীপুরের নাজমা আক্তার, টাঙ্গাইলের রিয়া খাতুন, নারায়ণগঞ্জের ফারজিনা সরদার, সাতক্ষীরার শিরিনা জাহাঙ্গীর, শাহানা ফেরদৌস, যশোরের জামিলা খাতুন, মা য়া খাতুন ও ভোলার হালিমা বেগম এবং দুই বছর বয়সী এক শিশু। বাকিদের বয়স ১৯ থেকে ৪০ এর মধ্যে।
শিশুসহ ওই ২৭ জনকে রাতেই বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে ইমিগ্রেশন পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান।
বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই রবিউল ইসলাম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিন নারীকে মানবাধিকার সংগঠন 'রাইটস' যশোরে এবং বাকিদের 'জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারকে' হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই সংগঠন তাদেরকে পরিবারের হাতে তুলে দিবেন বলে জানান তিনি।
মানবাধিকার সংগঠন 'রাইটস' যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান বলেন, ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুই থেকে থেকে পাঁচ বছর আগে দালালরা অবৈধ পথে তাদেরকে ভারতে পাচার করে।
কাজের সন্ধানে সেখানে ঘোরাঘুরির সময় পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। আদালত তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়।
সাজাভোগ শেষে ভারতের একটি মানবাধিকার সংগঠন 'রেসকিউ ফাউন্ডেশন' ওইসকল বাংলাদেশিদের নিজেদের হেফাজতে রাখে বলে তৌফিকুজ্জামান জানান।
তিনি বলেন, পাচারের শিকার নারীরা এ ঘটনায় মামলা করতে চাইলে তাদের আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।