ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুলওয়ামার সোপোর গ্রামে সেনা-জঙ্গী লড়াই ॥ নিহত ১

প্রকাশিত: ০২:৩২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পুলওয়ামার সোপোর গ্রামে সেনা-জঙ্গী লড়াই ॥ নিহত ১

অনলাইন ডেস্ক ॥ পুলওয়ামার পিংলিশ গ্রামের পর এ বার সোপোর। আজ শুক্রবার ফের উপত্যকায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। এখনও পর্যন্ত এক জঙ্গীকে নিহত করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। তবে তার পরিচয় বা সে কোন গোষ্ঠীর সদস্য, সে বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছেন সেনা ও নিরাপত্তা কর্মীরা। এখনও গুলিযুদ্ধ জারি রয়েছে। গোটা এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে স্থানীয়দের গতিবিধির উপরও। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এ দিন বারামুলা জেলার সোপোরের ওয়ারপোরা গ্রামে অভিযান চালান সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। সেই সময়ই কোণঠাসা হয়ে গুলি চালায় জঙ্গীরা। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। সেই সংঘর্ষেই এক জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এক পদস্থ পুলিশ কর্তা বলেন,‘‘তল্লাশির সময় নিজেদের আশ্রয় বা পালিয়ে যাওয়ার জায়গা কমে আসতেই মরিয়া হয়ে গুলি চালায় জঙ্গীরা। তার পরই শুরু হয় গুলি বিনিময়।’’ তবে ডেরায় কত জন জঙ্গি ছিল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় সেনা ও পুলিশবাহিনী। তাই গোটা এলাকা ঘিরে রেখে চলছে তল্লাশি। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার তদন্তে উঠে এসেছে, হামলার আগে জঙ্গিরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছিল। তাই এ দিন গুলির লড়াই শুরু হতেই বারামুলার ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়দের ওই এলাকার আশপাশে যাতায়াতের উপর নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গী হানায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। তার তিন দিন পর ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার পিংলিশ গ্রামে গুলিযুদ্ধে তিন জঙ্গীকে খতম করে সেনা। তাদের মধ্যে পুলওয়ামা হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড কামরানও ছিল। অন্য দিকে ওই এনকাউন্টারে চার নিরাপত্তা কর্মী অফিসার এবং এক সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তিন দিন পর ফের গুলিযুদ্ধ উপত্যকায়। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×