ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গ্রামীণফোনের করণীয়-ঠিক করে দিল বিটিআরসি

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

গ্রামীণফোনের করণীয়-ঠিক করে দিল বিটিআরসি

বেসরকারী বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী হিসেবে ঘোষণার পর অপারেটরটির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির সিস্টেম এ্যান্ড সার্ভিস বিভাগ থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোনকে চার দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, ‘এমএনপি লকইন পিরিয়ড ৩০ দিন প্রযোজ্য হবে। অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বতন্ত্র এবং একক স্বত্বাধিকার চুক্তি সম্পাদন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাসিক কল ড্রপের সর্বোচ্চ হার ২ শতাংশ। দেশব্যাপী কোন ধরনের মার্কেট কমিউনিকেশন কোন মাধ্যমে করা যাবে না।’ সাধারণত এমএনপি সেবায় ৪০ দিনের আগে অপারেটর বদলের সুযোগ না থাকলেও গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে তা ৩০ দিন করে দেয়া হয়েছে বলে জানান বিটিআরসির এক কর্মকর্তা। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা) প্রবিধানমালা, ২০১৮ এর প্রবিধান ৮ অনুযায়ী তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারীর তথা গ্রামীণফোনের করণীয় ও বর্জনীয় সংক্রান্ত নির্দেশ আগামী ১ মার্চ থেকে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। গত ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে এসএমপি ঘোষণা করে বিটিআরসি। এসএমপি ঘোষণার ফলে কোন অপারেটরের একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে ওইদিন অপারেটরটির করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে গত বছরের ১৪ নবেম্বর এসএমপি প্রবিধানমালা অনুমোদন করে বিটিআরসি। এর মাধ্যমে একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বিটিআরসি।
×