ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথমবারের মত ইরানি নৌ-বাহিনীর মহড়ায় ড্রোন

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

প্রথমবারের মত ইরানি নৌ-বাহিনীর মহড়ায় ড্রোন

অনলাইন ডেস্ক ॥ বেলায়াত-৯৭ সাংকেতিক নামের এই মহড়া চালানো হচ্ছে হরমুজ প্রণালী থেকে শুরু করে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মাকরান-উপকূলবর্তী ওমান সাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চল জুড়ে মোট বিশ লাখ বর্গকিলোমিটার সাগরে। নৌ-কুচকাওয়াজ, সত্যিকারের নৌ-যুদ্ধের অনুরূপ যুদ্ধের মহড়া, শত্রু-অধিকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধারের অনুশীলন চালাতে নৌ ও স্থল-হামলা এবং নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও টর্পেডো নিক্ষেপ এই মহড়ার কয়েকটি পর্ব বলে জানিয়েছেন ইরানি নৌ-কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল খানজাদি। এ ছাড়াও এই প্রথমবারের মত ইরানি নৌ-বাহিনীর মহড়ায় ব্যবহার করা হবে গোয়েন্দা তৎপরতা, টহল ও বোমা বর্ষণের জন্য বিশেষায়িত নানা ধরনের ড্রোন। এ মহড়ার আওতায় ইরানি সাবমেরিনগুলো থেকেও প্রথমবারের মত নিক্ষেপ করা হবে ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়াও ইরানের সাহান্দ ডেস্ট্রয়ারে ওঠা-নামা করবে সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ-বিধ্বংসী হেলিকপ্টারগুলো। ইলেকট্রনিক যুদ্ধের নানা কৌশল ও উপকূল থেকে ইলেকট্রনিক ডাটা পাঠানোর অনুশীলনও চালানো হবে এই নৌ-মহড়ায়। কয়েক মাস আগে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ও এই বাহিনীর একটি নৌ-ব্রিগেড দেশটির প্রথম আক্রমণাত্মক যুদ্ধের মহড়ায় অংশ নেয়। মহানবী-১২ সাংকেতিক নামের ওই মহড়া চালানো হয় পারস্য উপসাগরের কেশম্ দ্বীপের কাছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সম্প্রতি বলেছে, প্রয়োজন হলে আগাম হামলার মত আক্রমণাত্মক প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করবে ইরান।
×