ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এশিয়ার ৪৫ দেশকে ব্যাডমিন্টনে এগিয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত এনায়েত

প্রকাশিত: ০৫:০০, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এশিয়ার ৪৫ দেশকে ব্যাডমিন্টনে এগিয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত এনায়েত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কয়েকদিন আগে নিপ্পন স্পোর্টস সায়েন্স ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণে জাপান যান বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টনের জাতীয় কোচ এবং সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন এনায়েত উল্লাহ্ খান। ওখানে তিনি এখন ব্যস্ত ব্যাডমিন্টন কোচেস ডেভেলপমেন্ট কোর্স নিয়ে। সেখানে তিনি ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারা স্পোর্টস ওয়ার্কশপ করবেন। এই কোচিং ওয়ার্কশপে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কৃতী খেলোয়াড়দের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এনায়েত এখন ব্যস্ত বিভিন্ন দেশের শাটলারদের ব্যাডমিন্টনের বিভিন্ন কলাকৌশল শেখানো নিয়ে। গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ব্যাডমিন্টন এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার থানা আরিক্রিশনান। বাংলাদেশে ত্যাগের আগে তিনি জানিয়ে যান বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের সংস্থার পরিকল্পনা ও আশার কথা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এশিয়ার ৪৫ দেশকে ব্যাডমিন্টনের ক্ষেত্রে এগিয়ে নেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশও এই দেশগুলোর একটি।’ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে ভারতই সবচেয়ে এগিয়ে আছে ব্যাডমিন্টন-সাফল্যে। বাংলাদেশের লক্ষ্য তাদের সঙ্গে নিজেদের ব্যবধান কমিয়ে আনা। বাংলাদেশের শাটলাররা বেশি পরিমাণে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ভাল ফল করলে সেটার সুপ্রভাব পড়বে তাদের র্যাঙ্কিংয়ে। এতে করে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে তারা। ব্যাডমিন্টন খেলার বিভিন্ন সামগ্রী বেশ ব্যয়বহুল। বাংলাদেশের শাটলারদের কাছে এগুলো সহজলভ্য করার করার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে ব্যাডমিন্টন এশিয়া। বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টন উন্নয়নে ব্যাডমিন্টন এশিয়ার সহযোগিতা শুধু প্রধান শহরকেন্দ্রিক থাকবে না, এটি দেশের সর্বত্রই ছড়িয়ে দেয়া হবে। নইলে প্রতিভা উঠে আসবে না। বাংলাদেশের সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শাটলার এনায়েত উল্লাহ খান এখন কোচ। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক মেধাবী শাটলার আছে। সাম্প্রতিক সময়ে একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে। বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের অধীনেও শিঘ্রীই আরেকটি ট্যাল্টে হান্ট প্রোগ্রাম হবে। এখান থেকে বাছাই করা সেরা শাটলারদের নিয়ে দুই বছর মেয়াদী একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবে রূপ দেয়া যায়, তাহলে এশিয়ান অলিম্পিক প্রজেক্টের (এওপি) আওতায় আমাদের ভিশন ২০২৪ বাস্তবায়িত হবে। আর তা হলে আমরা অলিম্পিকে খেলতে পারব এবং ভাল কিছু ফল করতে পারব বলে আশা করি।’ ক্রিকেট-ফুটবলের জনপ্রিয়তায় এদেশে অনেক পিছিয়ে ব্যাডমিন্টন। দেশের নতুন ও তরুণ প্রজন্মকে কিভাবে আকৃষ্ট করা যাবে এই খেলাটিতে? এনায়েতের উত্তর, ‘কিছুদিন আগে ব্যাডমিন্টন অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতায় আমরা শাটল টাইম প্রোগ্রাম করেছি দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এটা মূলত ব্যডিমিন্টন খেলা শুরু করতে চায়Ñ এমন নবাগত শাটলারদের জন্য। আমি মনে করি ব্যাডমিন্টন এদেশে মোটেও অজনপ্রিয় খেলা নয়। বরং ক্রিকেটের পরেই এর স্থান। দেশের আনাচে-কানাচে এই খেলাটি অনেকটা নীরবেই খেলা হয়ে থাকে বলে সেভাবে আসলে চোখে পড়ে না। ভাল শাটলার তৈরিতে প্রয়োজন ভাল কোচও। এ প্রসঙ্গে এনায়েত বলেন, ‘আগে আমাদের ভাল কোচের অভাব থাকলেও এখন সেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে লেভেল-১ কোচের সংখ্যা বিশের কাছাকাছি। আগামীতে সংখ্যাটা আরও বাড়বে।’ রুমেল খান
×