স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগর পরিচ্ছন্ন ও মশক নিধনে ১৫ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। ‘সবাই মিলে সবুজ, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব ও বসবাসযোগ্য নগরী গড়ি’ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ শনিবার এ প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বেলা ১০ টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে পরিচ্ছন্নকরণ ও মশা নিয়ন্ত্রণে ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, অনেকেই নিজ বাড়ির পাশে ঝোঁপঝাড়, ড্রেন, নালা কোনো কিছুই পরিস্কার করেন না। নাগরিকদের এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। বাড়ি ও আশপাশের সবকিছু পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শুধু ড্রেন পরিস্কার রাখলে হবে না, আমাদের মনকেও পরিস্কার রাখতে হবে। মন যদি পরিস্কার না হয়,্ আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়া কঠিন হবে।
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। এই দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। আমরা মূল কাজ শুরু করে দিবো। তবে এটা ধরে রাখার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
তিনি আরো বলেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবৈধভাবে যানবাহন রেখে, দোকান তৈরি করে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে নাগরিকদের দুর্ভোগ হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের যে করণীয় আছে, তা করতে চাই। একাজে কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
লিটন বলেন, মশা দ্রুত সময়ে ব্যাপকভাবে বংশ বিস্তার করবে। এটাকে আমরা নির্মুল করতে পারি না। তবে আমরা নিন্ত্রয়ণ করবো। নিন্ত্রয়ণের কাজটি প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মাদক ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্সের নীতির বিষয়টি উল্লেখ করে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অচেতনতার কারণে আমাদের সন্তান মাদকে জড়িয়ে পড়তে পারে। তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তিনি সন্ত্রাসবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা সব সময় বলে আসছেন।
সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনালের জামিলুর রহমান, মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. নওসাদ আলী প্রমুখ। ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন শেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
এদিকে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের উদ্যোগেও ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করা হয়েছে। একইভাবে আরো ২৭টি ওয়ার্ডে এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করা হয়েছে।
