ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অপসারণ শুরু ॥ পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গুদামে তল্লাশি অভিযান

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অপসারণ শুরু ॥ পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গুদামে তল্লাশি অভিযান

গাফফার খান চৌধুরী ॥ ভয়াবহ চকবাজার ট্র্যাজেডিতে বহুল আলোচিত ওয়াহেদ ম্যানশন নামের সেই বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে উদ্ধার হলো অন্তত পাঁচশ’ বস্তা কেমিক্যাল। এরআগে প্রধানমন্ত্রী পুরান ঢাকায় আর কেমিক্যালের গুদাম না রাখার নির্দেশ দেন। এমন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াহেদ ম্যানশনে পাওয়া কেমিক্যালগুলো কড়া নিরাপত্তায় নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়। এ সময় সেখানে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান। ওয়াহেদ ম্যানশন থেকে কেমিক্যাল সরানোর মধ্যদিয়ে পুরান ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক পদার্থের গুদাম সরানোর কাজ শুরু হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে নিজ নিজ দায়িত্বে বাড়ির মালিকদের কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থের গুদাম সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কেমিক্যালের গুদাম সম্পর্কে তথ্য জানাতে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোলরুমে তথ্যদাতাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার তিন দিন পর শনিবার বিকেলে ওই এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ ছিল না। শনিবারও হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিল চকবাজারে। এখনও চকবাজারে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরেনি। অনেকটাই ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে পৃথক ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এখনও ১৮ জন নিখোঁজ থাকার তালিকা জমা পড়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ক্যাম্পে। তদন্ত কমিটি ছাড়াও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে দগ্ধদের দেখতে যান। তাদের সার্বিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকায় আর কেমিক্যালের গুদাম রাখা যাবে না। এমনকি কেমিক্যালের ব্যবসাও করা যাবে না। এমন নির্দেশনার পর ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র‌্যাব, শিল্প মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন চকবাজারের চুড়িহাট্টায় তল্লাশি চালানো শুরু করে। বিশেষ করে আগুনে যেসব বাড়ি পুড়ে গেছে, প্রথমেই সেই সব বাড়িতে কেমিক্যাল আছে কিনা তার অনুসন্ধান শুরু হয়। তল্লাশির দিক থেকে প্রথমেই আসে ওয়াহেদ ম্যানশনের নাম। কারণ চকবাজার ট্র্যাজেডির পর নানাভাবেই ঘুরে ঘিরে আসছিল ওয়াহেদ ম্যানশন নামের বাড়িটির কথা। এজন্য প্রথমেই সেই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযান চালানোর আগে ফায়ার সার্ভিসের একটি বড় অগ্নিনির্বাপক গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়। তার সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বড় বড় তিনটি পানির গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়। মূলত অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতেই এমন আগাম ব্যবস্থা ছিল। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ওয়াহেদ ম্যানশনসহ যে ছয়টি বাড়ি রাজউকের তরফ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ করা হয়েছে, সেসব বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ র‌্যাব পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। বেলা এগারোটার দিকে প্রথমেই ওয়াহেদ ম্যানশনে অভিযান চালানো হয়। প্রথমেই বাড়িটির পর পর চারটি ফ্লোরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কেমিক্যাল পুড়ে যাওয়ার অস্তিত্ব মেলে। বিদ্যুত না থাকায় সার্চ লাইট দিয়ে সর্বশেষ বাড়িটির আন্ডারগ্রাউন্ডে অভিযান চালানো হয়। আন্ডারগ্রাউন্ডটি পুরোপুরি মাটির নিচে। সেখানে অভিযান চালাতে গিয়ে চক্ষু চরকগাছ হয় অভিযানকারীদের। দেখা যায়, শত শত বস্তা কেমিক্যাল। এরপর পুরো এলাকা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে সেই গুদাম থেকে বের করে আনা হয় অন্তত পাঁচশ বস্তা কেমিক্যাল। কেমিক্যালের বস্তা বের করার সময় স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের ভাষ্য, ঘটনার পর থেকেই দাবি করা হচ্ছিল, আগুন কেমিক্যাল থেকে লাগেনি। এমনকি ওয়াহেদ ম্যানশনে আর কোন কেমিক্যাল নেই। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হলেও কেমিক্যালের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে হতাহতের সংখ্যাও অনেক বেশি হয়েছে। ওয়াহেদ ম্যানশনে কেমিক্যালের গুদাম না থাকলে এতবড় দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত। বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে সিটি করপোরেশনের তিনটি ট্রাকে করে অন্তত পাঁচশ বস্তা কেমিক্যাল সরানো হয়। প্রতিটি বস্তায় ১০ কেজি করে কেমিক্যাল রয়েছে বলে বস্তাগুলোর প্রত্যেকটির গায়ে লেখা ছিল। এসব কেমিক্যাল বিদেশ থেকে আমদানি করা। যা বস্তার গায়ে লেখা আছে। কেমিক্যালগুলো সরানোর সময় পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে পৃথক পৃথক তালিকা করা হয়েছে। কেমিক্যালগুলো নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কেমিক্যালের গুদামের মালিককে পাওয়া যায়নি। কেমিক্যালগুলো সরানোর সময় কড়া নিরাপত্তা দিচ্ছিল পুলিশ ও র‌্যাব। সেখানে কর্মরতরা বলছিলেন, আন্ডারগ্রাউন্ডে আগুন লাগেনি। যদি কেমিক্যালের মূল গুদামে আগুন লাগতো, তাহলে অগ্নিকা- কতটা ভয়াবহ হতে পারত, তা হয়তো কারও জানা নেই। যা কল্পনারও বাইরে। হয়তো পুরো ভবনটিসহ আশপাশের কয়েকটি ভবন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যেতে পারত বা উড়ে যাওয়া বিচিত্র ছিল না। কারণ যে কেমিক্যালগুলো উদ্ধার হয়েছে, তা অতিমাত্রায় দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ। এমন ঘটনার পর পরই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে কড়া নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, অতিদ্রুত সব বাড়ি থেকে কেমিক্যাল বা দাহ্য পদার্থ সরিয়ে ফেলতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া কোন বাড়ি বা স্থাপনায় কেমিক্যাল বা দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকলে তা দ্রুত সিটি করপোরেশনের স্থাপিত কন্ট্রোলরুমে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কন্ট্রোলরুমে একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে। তথ্যদাতাদের ০২৯৫৫৬০১৪ নম্বরে তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন উপস্থিত থেকে ওয়াহেদ ম্যানশনের কেমিক্যাল অপসারণ করান। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াহেদ ম্যানশনের বেজমেন্টের কেমিক্যাল অপসারণ কাজ শুরুর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেমিক্যালের গুদাম সরানোর কাজ শুরু করা হলো। যেসব বাড়ির মালিকরা কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণের উদ্যোগ নেননি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অগ্নিকা-ের কয়েকদিন আগেই পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এর দুইদিন পরই ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটল। যতক্ষণ পর্যন্ত পুরান ঢাকার সব কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর বা অপসারিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মেয়র আরও বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভয়াবহ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হয়েছিল। পরবর্তীতে তা কেমিক্যালের সংস্পর্শে গিয়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। মেয়রের আগে সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে চকবাজার থেকে কেমিক্যালের গুদাম সরনোর কাজ শুরু হলো। এরপর পর্যায়ক্রমে পুরান ঢাকার সব এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে ফেলা হবে। এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র‌্যাব এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে চুড়িহাট্টা মোড়ে পৃথক পৃথক ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, তারা নিখোঁজদের তালিকা করছেন। সেই তালিকা মোতাবেক শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ ১৮ জনের নাম নিখোঁজের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নিখোঁজদের পরিবারকে নানাভাবে সহায়তা করতেই এমন তালিকা করার কাজ করা হচ্ছে মন্ত্রণালয় থেকে। এদিকে শনিবার সকাল থেকেই এলাকার বিদ্যুত সংযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ চলছিল। ওয়াহেদ ম্যানশনের পাশে থাকা ট্রান্সফর্মারের সার্ভিস খোঁজখবর নিচ্ছিলেন বিদ্যুতের লালবাগ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হরিচাঁদ হালদার। তিনি বলছিলেন, আমরা ইতোমধ্যেই পুড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তার, খুঁটিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পরিবর্তন করে নতুন লাগিয়েছি। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে চুড়িহাট্টার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হবে। তবে যেসব বাড়ি পুড়ে যাওয়ার কারণে সরকারীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে, সেসব বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। অনেক এলাকায় বিদ্যুত দেয়া হলেও, স্থানীয়রা জানান, কোন গ্যাস সংযোগ নেই। ফলে তাদের খাবার তৈরি করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এদিকে চকবাজার এলাকায় এখনও আতঙ্ক কাটেনি। অধিকাংশ এলাকাবাসী বাসায় ফেরেননি। পুরো এলাকায় এখনও ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছে সেখানে। ঘটনাস্থলের আশপাশে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাব ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। অপ্রয়োজনীয় কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। পুরো এলাকার দোকানপাট বন্ধ। রাস্তাঘাট বন্ধ। চকবাজারের অলি গলিতে শোকবার্তা লেখা শত শত ব্যানার ঝুলছে। প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে এগারোটার দিকে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। আগুনে ৬৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। দগ্ধ হয় ৪১ জন। দগ্ধদের মধ্যে নয় জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এমন ঘটনার পর ওয়াহেদ ম্যানশন নামের বাড়ির মালিকের দুই ছেলেসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা হয়েছে। শনিবার বিকেল নাগাদ আসামিদের কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাজউকের তরফ থেকে ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশন, তার পাশে লাগোয়া ৬৫ ও ৬৬ নম্বর বাড়ি এবং এই তিনটি বাড়ির মুখোমুখি চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের নামের থাকা ১৭ নম্বর বাড়ি এবং বাচ্চু নামে এক ব্যক্তির ১৮ নম্বর বাড়িটি ও ৬১ নম্বর বাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ঘটনার সময় একটি পিকআপ গাড়ি একটি মাইক্রোবাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন মাইক্রোবাসটির সামনে তিতাস গ্যাসের রান্না করার সিলিন্ডার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপে লেগে যায়। পিকআপে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে গেলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সেই আগুন পাশে থাকা হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডারে এবং ওয়াহেদ ম্যানশনের নিচতলায় থাকা কেমিক্যালের গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। কেমিক্যালের গুদামে আগুন লাগার পর তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আগুনের তাপে আশপাশের বাড়িতে থাকা প্লাস্টিকের দানা গলে তা লাভার মতো আঠালো হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। যানজটে আটকে থাকা লোকজন রাস্তায় নামলে তাদের পা আটকে যায় সেই আঠায়। আর সেখানেই তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
×