ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেনা সমর্থন পেতে মরিয়া ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত: ০০:০৯, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সেনা সমর্থন পেতে মরিয়া ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক ॥ সেনা-সমর্থন নিশ্চিতের মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুয়াইদো। সশস্ত্র বিভাগে কর্মরত মুষ্টিমেয় কিছু সদস্য ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করলেও জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী এখনও তাকে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে। তবে মাদুরো সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের আগে পথ না ছাড়ার অঙ্গীকার করেছেন গুয়াইদো। যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ত্রাণ প্রবেশের প্রশ্নে সংঘাত জোরালো হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি সেনাবাহিনীকে ইতিহাসের সঠিক পথ বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদো। সে সময়ই তিনি ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলাবাসীর সহায়তায় তিনি আন্তর্জাতিক ‘ত্রাণ সহযোগীদের’ নেটওয়ার্ক বানাবেন। গুয়াইদোর দাবি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থন রয়েছে তার প্রতি। তিনি টুইটারে লিখেছেন, 'এটা কেবল শুরু। তারা যদি ভেবে থাকে যে আমরা রাস্তা ছেড়ে দেব, তাহলে তারা ভুল করবে। স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা পথে থাকব।' 'গুয়াইদোর অনুরোধে' ভেনেজুয়েলাবাসীর জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে সরকার সেই ত্রাণ ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ করতে দেয়নি। গুয়াইদোর বিরোধী শিবির ব্রাজিল ও কলম্বিয়া সীমান্তে আটকে থাকা সেই ত্রাণ ভেনেজুয়েলায় নিতে মরিয়া। তবে মাদুরো সরকার মনে করছে, ওই ত্রাণ প্রবেশের নামে সামরিক হস্তক্ষেপের পায়তারা করছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার বিরোধীরা ওই ত্রাণকে ভেনেজুয়েলার ভেতরে নেওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী তাতে বাধা দেয়। বিরোধীদের সঙ্গে শুরু হয় সংঘাত। ত্রাণের প্রবেশ নিশ্চিত করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরতে হয় ক্ষুধার্ত দুই আদিবাসীকে। এমন প্রেক্ষাপটে গুয়াইদো বলেছেন, 'চোখ মেলে তাকালেই দেখা যাবে, কীভাবে মানবিক সহায়তা ধ্বংসের মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্য দিয়ে জেনেভা সনদ লঙ্ঘন করা হচ্ছে।' বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা গেছে, আগুনে পুড়ে গেছে ত্রাণবোঝাই তিনটি ট্রাক। এমন প্রেক্ষাপটে গুয়াইদো প্রশ্ন তুলেছেন, সেনাবাহিনী কেন সেই শাসনের দায় নেবে, যারা ক্ষুধার্ত মানুষের সামনে মানবিক সহায়তা ধ্বংস করে। যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর কাছে দাঁড়িয়ে তিনি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশে বলেছেন, 'তোমাদের কত জনের মা অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে? কত জনের সন্তান না খেয়ে স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে'। জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে 'ইতিহাসের সঠিক পথে অবস্থান নেওয়া'র আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদো। সে সময়ই তিনি ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলাবাসীর সহায়তায় তিনি আন্তর্জাতিক ‘ত্রাণ সহযোগীদের’ নেটওয়ার্ক বানাবেন। 'গুয়াইদোর অনুরোধে'ভেনেজুয়েলাবাসীর জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে সরকার সেই ত্রাণ ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ব্রাজিল ও কলম্বিয়া সীমান্তে সেই ত্রাণ আটকে আছে। আটকে থাকা মার্কিন ত্রাণ ভেনেজুয়েলায় প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার প্রচেষ্টাকে কারণ দেখিয়ে শনিবার কলম্বিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় ভেনেজুয়েলা।
×