ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

বাংলার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ৪ মার্চ ২০১৯

বাংলার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯ ওয়াজেদ হীরার লেখা ডিজিটাল যুগে বাংলা ভাষার চ্যালেঞ্জ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সচরাচর এমনটা হয় না। বাংলাদেশের গণমাধ্যম বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করে নিজেদের বিস্তৃতি এত ব্যাপকভাবে ঘটালেও সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রসারে সেই সচেতনতা গড়ে তুলছে বলে আমার মনে হয় না। যা হোক, প্রতিবেদনটিতে চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলোই খুব সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। তবে সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটির প্রথমাঙ্ক এ রকম- “তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অফিসপাড়া থেকে চায়ের টং দোকানেও ছোঁয়া লেগেছে ডিজিটালের। সর্বত্রই প্রযুক্তির প্রলেপ, সবাই আধুনিক। নানা প্রযুক্তি আর ভিনদেশীয় ভাষার ভিড়ে স্বদেশেই অনেকটা কোণঠাসা মাতৃভাষা বাংলা। ডিজিটাল যুগে রক্তের বিনিময়ে পাওয়া মায়ের মুখের ভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে বর্তমানে ‘ইংলিশ ভার্সন’ রোমান হরফ ব্যবহারের উপদ্রবটা অনেক বেশি।” ছোট একটি অনুচ্ছেদে ছোট করে হলেও ডিজিটাল যুগে বাংলা ভাষার প্রাথমিক চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে লেখায়। একটু ভয়ঙ্কর শোনাতে পারে যে, পাকিস্তানী হানাদার তথা পাক ঔপনিবেশিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোমান হরফ ও আরবী হরফে বাংলা লেখার লড়াইতে জিতে রক্তে লেখা বাংলা হরফ কি ডিজিটাল যুগে নির্বাসনে যাচ্ছে? অথবা বিষয়টি কি এমন যে, ওয়াজেদ হীরা একটু বাড়িয়ে বলছেন? তার প্রতিবেদনেই আছে, ‘১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ২০১৪ সালে উচ্চ আদালতের রায় এবং বেশকিছু সরকারী আদেশ ও পরিপত্র দিয়ে বাংলা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পাঁচ যুগের অধিক সময় পার হয়ে গেলেও এখনও সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহারের জন্য অভিযান করতে হয়, জেল-জরিমানা করতে হয়। তবে বছর ঘুরে বারবার ফেব্রুয়ারি মাস আসার আগে থেকেই সরকারী বিভিন্ন দফতরও সরব হয়ে ওঠে। অথচ বছরের বাকি ১১ মাস সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহারে থাকে না বিশেষ কোন উদ্যোগ বা পরিকল্পনা। এ নিয়ে জনমনে দেখা দেয় নানা প্রশ্ন। গত বছরও ফেব্রুয়ারির আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সর্বত্র বাংলা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতার অঙ্ক হিসেবে বিশেষ অভিযান কর্মসূচী হাতে নেয়। এরপর কিছুদিন অভিযান করে কয়েকটি দোকান ও শপিংমলে জরিমানাও করে। তবে একুশে ফেব্রুয়ারির পরে যথারীতি পাল্টে যায় এসব চিত্র। সিটি কর্পোরেশনের এমন উদ্যোগের বিষয়ে রাজধানীর অনেক বাসিন্দা জানান, জানুয়ারি থেকে অভিযান শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখের পর সব পাল্টে যায়। এসব আসলে লোক দেখানো’ ওয়াজেদ হীরার সঙ্গে আমরা আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে নিতে পারি। ২০১৯ সালেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঘটা করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে কিছু সাইনবোর্ড ভাংচুর করেছে। এরপর যা ছিল তাই রয়ে গেছে। সাইনবোর্ড-ব্যানার-ফেস্টুন যা আছে তা রোমান হরফে তো আছে, বরং সেমিনার-কর্মশালা-সম্মেলনসহ ব্যবসা-বাণিজ্য, উচ্চ আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবখানেই বাংলা ভাষা ও বাংলা বর্ণমালা নির্বাসনে। রোমান হরফ দখল করছে বাংলা হরফের জায়গা। যে কৃষক অতি কষ্টে বাংলা হরফই পড়তে চেষ্টা করে তার কাছেও ইংরেজীতেই এসএমএস যায়। ... এদিকে রাজধানী তো বটেই, গোটা দেশের রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন চায়ের স্টলের নামের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে ইংরেজীতে লেখা। যার অধিকাংশই বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও রাজধানীর অন্যান্য দোকান, শপিংমল, পার্লার, ফ্যাশন হাউস তথা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডও বড় বড় হরফে ইংরেজীতে লেখা। বাংলায় লেখা বিভিন্ন সাইনবোর্ডও দেখা গেছে, তবে ইংরেজীর ভিড়ে তা সামান্যই মনে হয়। এদিকে অনেক অফিসে এখনও ইংরেজীর ব্যবহার তুঙ্গে। এমনকি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও ইংরেজীর ব্যাপক বা একচেটিয়া ব্যবহার হচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা ও ইংরেজী উভয় ধরনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের ভাষা, মেলার ভাষা, ব্যানার-ফেস্টুনের ভাষায় ডিজিটাল রূপান্তরের নামে যত্রতত্র ইংরেজীর ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি শহুরে মধ্যবিত্ত পরিবারের বিয়ের কার্ডও কেবল ইংরেজীতেই ছাপা হচ্ছে। বর্তমানে হাতে হাতে মোবাইল আর সহজলভ্য ইন্টারনেটের যুগে সবাই পরিচিতজনদের যে খুদে বার্তা পাঠাচ্ছে সেখানেও হরহামেশাই ইংরেজীর ব্যবহার। তবে অনেক সময়ই বাংলা-ইংরেজী মিশ্রিত ‘বাংলিশ’ নামেও খুদে বার্তা দেয়া হয়। মাতৃভাষা ছেড়ে এসব বাংলিশ লেখা নিয়ে লজ্জাবোধও নেই এই প্রজন্মের অনেকের মধ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাহসানিউর রহমান ও হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আসলে এসব মিশ্রিত ভাষা আমরা অনেকেই ব্যবহার করি। এটা যদিও ঠিক নয়, তবে অনেকেই দ্রুত মোবাইলে লিখে বা লিখতে সহজ তাই হয়ত লিখে। সরকারী তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি যাকে এই বার্তা দিচ্ছি সে যদি আবার না বুঝে তাই অনেক সময় এসব মিশ্রিত ভাষাই বেশি ব্যবহার হয়।’ রোমান হরফে বাংলা ও রোমানাইজেশন : বাংলা ভাষাকে রোমান হরফে প্রকাশ করা বা রোমান হরফে লিখে তাকে ভুল বাংলা ভাষায় রূপান্তর করাটা এখনকার দিনের কারও কারও ফ্যাশন বা ভয়ঙ্কর প্রবণতা হতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে রোমান হরফ দিয়ে বাংলা লেখার এই জঘন্য প্রবণতা দিনে দিনে বেড়ে উঠছে। মনে হতে পারে যে, প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার জন্য রোমান হরফ দিয়ে ওরা এসএমএস পাঠায় বা ফেসবুকে ও মেলে রোমান হরফ ব্যবহার করে। কিন্তু প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার অজুহাতটি সত্য নয়। সঙ্কটটি মূলত মানসিকতার। মানসিক কারণেই সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বা ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজে রোমান হরফ ব্যাপকভাবে ব্যবহাত হয়। অথচ ইন্টারনেটে, কোন অপারেটিং সিস্টেমে, কোন ব্রাউজারে বা কোন ডিজিটাল যন্ত্রে রোমান হরফে বাংলা লেখার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। বরং ডিজিটাল জগতে বাংলা লেখার সকল সুবিধাই বিরাজ করে। এটিও উল্লেখ করা দরকার যে, ইন্টারনেট থেকে ফ্রি ডাউনলোড করা যায় এমন একাধিক বাংলা সফটওয়্যারে ইংেরজীতে বাংলা লিখলে সেটি বাংলা হরফে পরিণত হয়। ফলে বাংলা লেখার জন্য বাংলা হরফ জানার দরকার হয় না। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা সহজে বাংলা লেখার পদ্ধতি হিসেবে এটি গ্রহণ করে থাকে। তথাকথিত এসব পদ্ধতিকে উচ্চারণভিত্তিক বলা হয়ে থাকে। এর অর্থ দাঁড়ায় রোমান ন হরফ চেপে বাংলা ব হরফ লেখার ব্যবস্থা করা। বাংলা উচ্চারণভিত্তিক কীবোর্ড মানে হওয়া উচিত অল্পপ্রাণ-মহাপ্রাণ বা উচ্চারণের সাযুজ্যভিত্তিক। যেমন ক-এর শিফটে খ বা ই-কার-এর শিফটে ঈ-কার। অন্যদিকে এটি প্রমাণিত যে, রোমান হরফ দিয়ে সঠিকভাবে শুদ্ধ করে প্রকৃত বাংলা উচ্চারণে বাংলা পুরোপুরি লেখা যায় না। ২৬টি রোমান হরফ বাংলা মৌলিক ৫২টি বর্ণ, ৯টি স্বরচিহ্ন এবং শত শত যুক্তাক্ষর তৈরি করা মোটেই সম্ভব নয়। তথাকথিত এসব পদ্ধতিতে দ্রুত লেখাও যায় না। এই উপায়ে দু’চার লাইন এসএমএস-ফেসবুকের স্ট্যাটাস ইত্যাদি লেখা গেলেও দ্রুত গতিতে বিশাল বিষয়বস্তু লেখা যায় না। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তথাপি এটি দিনে দিনে জনপ্রিয় হচ্ছে। কিছু লোক যে কোনভাবে যে কোন বানানে বা যে কোন উচ্চারণে রোমান হরফে বাংলা লিখছে। বাংলা বিকৃত হলে যেন তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। এই পদ্ধতিটিকে সহায়তা করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন তহবিল, নির্বাচন কমিশন ও তাদেরই কিছু সহযোগী প্রতিষ্ঠান। কোন কোন মহল রোমান হরফে বাংলা লেখার দফতরি নির্দেশনাও দিয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় রোমান হরফে বাংলা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা এটি অনুভব করেনি যে, এর ফলে বাংলা ভাষার কি ভয়ঙ্কর ক্ষতি করা হচ্ছে। শিক্ষকরা যখন রোমান হরফে বাংলা লিখছে তখন তার প্রভাব ছাত্রছাত্রীদের ওপরও পড়ছে। আমি আশঙ্কা করছি যে, একটি পরগাছা প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে, যারা ভুল উচ্চারণে ভুল বাংলা লিখছে এবং বাংলা হরফ দেখে ওরা বলতে পারছে না কোন্টি কোন্ অক্ষর। এই ক্ষতিটার ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত আছে ডেনমার্কে। ডেনিশরা তাদের লিপি বাদ দিয়ে রোমান হরফ ব্যবহার করায় এমন দশায় পড়েছে যে, সেই দেশের ১৭ ভাগ লোক ডেনিশ উচ্চারণ করতে পারে না। ২ মার্চ দৈনিক সান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দুটি মন্তব্য তুলে ধরছি। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বন্ধু সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন- We found the capitalist society leads our young generation towards a fake language trend in combination of English and Bangla without a specific meaning. The native language always inspires people to raise voice against a irregularities, Prof. Maoorul said, adding that the distortion of local language paves the way for foreign executives to dominate locals through slavery. আমার ধারণা আমাদের তারুণ্য তাদের হাতে-পায়ে যে শেকলটা পরানো হচ্ছে সেটি উপলব্ধি করে না। বরং খুব সহজভাবে সাম্রাজ্যবাদকে গ্রহণ করে। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবুল কাশেম মন্তব্য করেছেন- Bangladesh has to focus on Bangla language to survive as a language-based state. If we neglect native language, the country will lose its uniqueness in identity, Prof. Kashem told daily sun. http:/ww/w.daily-sun.com/printversion/details/374716/2019/03/02/Universal-application-of-Bangla-still-a-dreaস?fbclid=IwAR0UlkjoBQYLjRg60osmou0SFhtDSoxxb0VgDL47ZqUaJH1_h4yG5ZsShrA বস্তুত কেবল রোমানাইজেশনই বাংলা ভাষার একমাত্র সঙ্কট নয়। এটি একটি সঙ্কট এবং অবশ্যই বড় একটি সঙ্কট। বাংলা হরফের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হওয়ার মতো সঙ্কট এটি। কিন্তু এটিও মনে রাখতে হবে যে, এই সঙ্কটের বাইরেও বাংলা ভাষার সঙ্কট রয়েছে। মূল সঙ্কট মানসিকতার : আমি অবশ্যই মনে করি যে, বাংলা ভাষার প্রতি অবহেলার অন্যতম প্রধান কারণ কিছু মানুষের ইংরেজীপ্রীতি ও বাংলাসহ বিশ্বের মাতৃভাষাসমূহের সম্ভাবনাটি আঁচ করতে না পারা। কিন্তু আগামী দিনটি ইংরেজীর দাপট থাকবে না এটি অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। প্রযুক্তি সেই সময়টিকেই আমাদের সামনে উপস্থাপন করছে। খুশি হব ইংরেজীর গোলামি যারা করে তারা যদি এটি বুঝতে পারত। যদি আরও একটু গভীরে তাকাই তবে আমরা বাংলা ভাষা ও হরফকে নিয়ে আরও অনেক ষড়যন্ত্র দেখতে পাব। বাংলা ভাষার হরফ পরিবর্তন, যুক্তাক্ষর বাদ দেয়া, অক্ষরের আকৃতি বদলানো, মূল বর্ণের কয়েকটিকে বাদ দেয়া, বানান ও ব্যাকরণ সংস্কার বা লেখন পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রস্তাবও দেখেছি আমরা। এমনকি যুক্তাক্ষর বর্জন করার প্রস্তাবও আমরা দেখেছি। যন্ত্রে প্রয়োগ করার নামে, ভাষাকে সহজ করার নামে, ব্যবহারের সুলভ পথ খুঁজে বের করার নামে এসব প্রসঙ্গ বহুদিন ধরে বহুভাবেই আলোচিত হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় এসব প্রস্তাবের পক্ষের ও বিপক্ষের মানুষের নাম-ধাম সবই পাওয়া যাবে। আমি সেই মহামানবদের নাম পুনরায় স্মরণ করাতে চাই না। তবে কষ্ট হয় যখন দেখি আমাদের কাছে সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিরাও এসব অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে আমাদের জন্য সবচেয়ে সুখের বিষয়টি হলো এত সব প্রস্তাবনার পরেও বাংলা ভাষাকে কেউ এখন পর্যন্ত তার মূল স্রোত থেকে সরাতে পারেনি। এখনও বাংলা ভাষার হরফমালা অবিকৃত রয়েছে। কেউ কোন হরফকে বাদ দিতে পারেনি বা নতুন কোন ভাষার পদ্ধতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারেনি। এখনও বাংলা ভাষার বানানে বৈচিত্র্য রয়েছে এবং নানাভাবে নানা শব্দে বাংলা ভাষা প্রতিদিনই সমৃদ্ধ হচ্ছে। বরং নানা আক্রমণে, নানা বিবর্তনে বাংলা ভাষা তার অকৃত্রিমতা হারায়নি। (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ঢাকা থেকে বার্সিলোনা যাওয়ার জন্য আকাশ ভ্রমণের সময় লেখা। পরের আরও দুই কিস্তিতে সমাপ্য) ঢাকা, ২ মার্চ ২০১৯ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান-সম্পাদক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক
×