অনলাইন ডেস্ক ॥ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম লেগে দুই অথবা তার বেশি গোলে পিছিয়ে থেকে নকআউট পর্বে জয় পাওয়ার রেকর্ড খুব কমই আছে। ঘরের মাটিতে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে পিএসজি। শেষ ১৫ ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরেছে তারা। ইতিহাস পিএসজির হয়ে কথা বললেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নতুন করে ইতিহাস তৈরি করলো বুধবার রাতে।
রাশফোর্ডের শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে রাউন্ড অব সিক্সটিনের দ্বিতীয় লেগে পিএসজিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ম্যানইউ।
ম্যানইউ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বশেষ অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতেছিল আট বছর আগে শালকের বিপক্ষে। প্রথম লেগে কাভানি-নেইমারবিহীন পিএসজির কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল ম্যানইউ। এদিন পিএসজির হয়ে কাভানি থাকলেও ছিলেন না একাদশে। তবে প্রাক ডি প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে কঠিন মিশন নিয়ে মাঠে নামে রেড ডেভিলসরা। ম্যাচের শুরুটা হয় গোল দিয়েই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ২ মিনিটের মাথায় পিএসজির ডিফেন্ডারের ভুল। টিলো কেয়ারের লক্ষ্যহীন ব্যাকপাসে বল পেয়ে যান রোমেলু লুকাকু। ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক বুফনকে কাটিয়ে পিএসজির বিপক্ষে লিড এনে দেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার।
তবে সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি পিএসজি। ১২ মিনিটে দুর্বল ডিফেন্সের সুযোগে কিলিয়ান এমবাপ্পের পাস থেকে গোল করতে ভুল করেননি জুয়ান বার্নাট। ১-১ গোলে সমতায় পিএসজি। দুই লেগ মিলে তখন পিএসজির লিড ৩-১ গোলের।
২০ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বার্নাট। ৩০ মিনিটে আবারও লিড নেয় ম্যানইউ। এবারও পিএসজির ভুল। রাশফোর্ডের নেওয়া শট বুফন ধরতে ব্যর্থ হন। ফিরতি বল পিএসজির জালে জড়িয়ে লুকাকুর গোলে এগিয়ে যায় ম্যানইউ। প্রথমার্ধে বলার মতোর আর কোনো গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই।
বিরতির পর বল দখলে নিয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। ৫৫ মিনিটে গোলের দেখা পেয়েছিলেন ডি মারিয়া। তবে অফ সাইডের কারণে গোলটি বাতিল করেন রেফারি। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে গোলের আরো একটি সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিক দল। তবে এবার ব্যর্থ হন এমবাপ্পে।
ম্যাচের নাটকীয়তা তৈরি হয় শেষ মিনিটে। ম্যানইউ ডালটের নেওয়া শট পিএসজি’র ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। রেফারি কর্নারের সিদ্ধান্ত দেন। এরপর কি মনে করে যেন ভিডিও রিভিউতে যান রেফারি। সেখানে হ্যান্ডবলের কারণে কর্নারের সিদ্ধান্ত বদলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। আর তাতে গোল করতে ভুল করেননি রাশফোর্ড। ম্যাচে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় ম্যানইউ। আর দুই লেগ মিলে ৩-৩ সমতায় ম্যাচ। এরপর আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ফলে প্রতিপক্ষের মাটিতে এক গোল বেশি করায় শেষ আট নিশ্চিত করে সুলশারে শিষ্যরা।
রাউন্ড অব সিক্সটিনের আরেক ম্যাচে এএস রোমাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে এফসি পোর্তো। নির্ধারিত সময়ে খেলায় ২-১ গোলে পোর্তো জিতলেও দুই লেগ মিলে গোলসংখ্যা সমান থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ভিএআর সহযোগিতায় পাওয়া পোনাল্টি থেকে গোল করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলেন অ্যালেক্স টেলেক্স।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: