ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ১৪ মার্চ ২০১৯

ট্রাস্ট দুর্নীতির  মামলায় খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

অনলাইন রির্পোটার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করা হয়েছে। আপিল আবেদনে খালেদা জিয়ার জামিনও চাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার আইনজীবীরা প্রায় দুই’শ পৃষ্ঠার এ আপিল দায়ের করেন। একইসঙ্গে ৫ বছরের দণ্ডথেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে দেন আদালত। এ ছাড়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল ও সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের আপিলের শুনানি সমাপ্ত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এদিনও খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকেলে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আপিল দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আপিলে বলা হয়েছে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের শুনানির সুযোগ না দিয়ে হাইকোর্ট এক তরফাভাবে রায় দিয়েছেন। যা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।’ এক প্রশ্নের জবাবে এ আইনজীবী বলেন, ‘উচ্চ আদালতের অবকাশকালীন ছুটির পর আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এর আগে গত বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দু’জন হলেন- মাগুরার প্রাক্তন সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
×