ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এসএমই ঋণ যাচ্ছে গাড়ি বাড়ি খাতে

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ১৫ মার্চ ২০১৯

  এসএমই ঋণ যাচ্ছে গাড়ি বাড়ি খাতে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার \ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ব্যাংকগুলো ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ফান্ড থাকলেও বাস্তবে এই অর্থ অন্য খাতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এমএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কে এম হাবিব উল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদাসীনতার কারণে এই খাতের জন্য বরাদ্দ ঋণ গাড়ী, বাড়িসহ অন্য খাতে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র কাগজ কলমে ঋণের কথা উল্লেখ থাকলেও মাঠ পর্যায়ে রয়েছে ঋণের জন্য হাহাকার। বৃহস্পতিবার রাজধানীর এসএমই ফাউন্ডেশন ভবনে সাংবাদ সম্মেলনে এমএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কে এম হাবিব উল্লাহ বলেন, দেশে বেকারত্বের সমস্যা রয়েছে। দেশের এই সমস্যা সমাধান করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। ৮০ লাখ মানুষ এমএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৮০ কোটি টাকা ১৬শ জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। ৮০ কোটি টাকার ঋণ উত্তোলনে কেউ ঋণখেলাপি হয় নাই। ঋণগ্রহীতা সবাই ঠিক সময়মত ঋণ পরিশোধ করেছে। তিনি বলেন, দেশকে উন্নত করতে এই খাতে সরকারের সুনজর প্রয়োজন। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক এক বিরাট পরিবর্তন আসবে। সরকার এই খাতকে এগিয়ে নিতে আন্তরিক, কিন্তু সুদের কারণে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সমস্যা করছে। এই খাতে এখনও সুদের হার ডবল ডিজিটে বলে উল্লেখ করেছেন চেয়াপারর্সন। সংবাদ সম্মেলনে অন্য বক্তরা বলেন, এমএমই খাতে নারীদের বিনা আমানতে ২৫ লাখ টাকার ঋণ দেওয়া কথা থাকলেও, এটা শুধু কাগজ কলমে রয়েছে। বক্তরা আক্ষেপ করে বলেন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ছাড়া কোন নারীকে বিনা আমনতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা শুরু করতে ঋণ প্রদান করা হয় না। এই ২ জেলা বাদে এমএমই খাতে একজন নারীকেও বিনা আমানতে ২৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয় না। দেশীয় পণ্যেকে বিদেশের মাটিতে পরিচিত করাতে এই খাতের প্রতি সরকারকে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলামসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
×