ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিয়ের ক্ষেত্রে নোটারী পাবলিকের কার্যক্রম বন্ধের দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ১৫ মার্চ ২০১৯

বিয়ের ক্ষেত্রে নোটারী পাবলিকের কার্যক্রম বন্ধের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বাল্যবিয়ে মুক্ত বরিশাল জেলা ঘোষণা করা হলেও জেলার দশটি উপজেলায় বাল্যবিয়ের হিড়িক পরেছে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করেও ঠেকানো যাচ্ছেনা বাল্যবিয়ে। সরকারের নিয়ম উপেক্ষা করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের অভিভাবকরা জালজালিয়াতির মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দাখিল করে আইনজীবীদের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করছেন। ফলে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করার পরেও বরিশালে ঠেকানো যাচ্ছেনা বাল্যবিয়ে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কোন রকমের নোটারী পাবলিক গ্রহণযোগ্য না থাকলেও প্রতিটি বাল্যবিয়ের ঘটনায় দেখা গেছে নোটারীর মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সূত্রমতে, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারের কঠোর নির্দেশনার পরেও নোটারীর মাধ্যমে বরিশালে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। বাল্যবিয়ে ঠেকাতে শুধুমাত্র বিয়ের ক্ষেত্রে নোটারী পাবলিকের কার্যক্রম বন্ধের দাবি করেছেন সচেতন মহল। এছাড়াও বাল্যবিয়ের অপরাধে বর-কনের অভিভাবক, রেজিস্টারদের বিরুদ্ধে যেমন দন্ডবিধির আইন রয়েছে, তেমনি নাবালিকা ছেলে-মেয়েদের বয়স বাড়ানো ভুয়া নোটারীর সাথে যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবি করা হয়েছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে প্রায়ই বাল্যবিয়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জনপ্রতিনিদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে দেশের যেকোনো স্থান থেকে হেল্পলাইন (টোল ফ্রি) ‘১০৯৮’ নম্বরে কল দিলেই সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছে।
×