ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এলএনজিতেও গ্যাস সঙ্কট কাটছে না চট্টগ্রাম মহানগরীতে

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ১৬ মার্চ ২০১৯

 এলএনজিতেও গ্যাস সঙ্কট কাটছে না চট্টগ্রাম মহানগরীতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ এলএনজি (তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস) যুগে প্রবেশ করে ২০১৮ সালের আগস্টে। এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে গ্যাস সঙ্কট কেটে যাবে-এমনটাই আশা করেছিলেন গ্রাহকরা। এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে, কিন্তু এরপরও নগরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সঙ্কট কাটছে না। বিশেষ করে হালিশহর, পাথরঘাটা, পতেঙ্গা এলাকায় গ্যাসের সঙ্কট অনেকদিন ধরেই চলছে। দিনের বেলায় গ্যাসের চাপ কম থাকে। মাঝে-মধ্যে একদমই থাকে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এছাড়াও কোতোয়ালি, জামালখান, আসাদগঞ্জ, আসকার দীঘি এবং বহদ্দারহাটের কিছু এলাকায় প্রায় সময় দিনের বেলায় গ্যাস সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। হালিশহর বি-ব্লক এলাকার বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, প্রায় সময় দিনের বেলায় গ্যাস সঙ্কট থাকছে। মাঝে-মধ্যে গ্যাসের চাপ কম থাকে আবার কোন সময় একেবারে থাকে না। এতে ভোগান্তি লেগেই আছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) সূত্র জানায়, এলএনজি থেকে চট্টগ্রামে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেয়া হচ্ছে। এতে চট্টগ্রামের চাহিদা মিটছে, পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডের দৈনিক ২১০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে। ১২০ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে, যা ঢাকাসহ অন্য অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু এরপরও কেন গ্যাস সঙ্কট ? কেজিডিসিএলের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নগরের ওইসব এলাকায় গ্যাস সঙ্কটের একমাত্র কারণ পাইপলাইন। গ্যাসের পাইপলাইন সরু হওয়ার কারণে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ যাচ্ছে না। ফলে গ্যাস সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। কেজিডিসিএলের প্রকৌশল সার্ভিসের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরোয়ার হোসাইন বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে। এরপরও বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সঙ্কটের কারণ হলো- পাইপলাইনের সমস্যা। গ্যাসের পাইপলাইনগুলোকে ব্যালেন্সিং করতে হবে। লাইনগুলোকে ইন্টারলিংক করতে হবে। ইন্টারলিংক করার পর গ্যাসের চাপ বাড়াতে হবে। কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) আজিজুল হক বলেন, যে কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের লাইনে সমস্যা আছে সেগুলো সংস্কার করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
×