অনলাইন ডেস্ক ॥ চোখ-মুখ শান্ত। নির্লিপ্ত। লেশমাত্র অনুতাপের চিহ্ন নেই সেই মুখে। চিত্র সাংবাদিকদের সামনে রীতিমতো মুচকি হাসিতে পোজও দিল সে।
সে ব্রেন্টন ট্যারান্ট। গতকাল থেকে গোটা দুনিয়া পরিচিত যে নামটির সঙ্গে। ট্যারান্টের মেশিনগান থেকে ছুটে আসা ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি কেড়ে নিয়েছে ৪৯টি প্রাণ। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন আরও অনেকে। রক্তাক্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আজ শনিবার আদালত তোলা হয় ২৮ বছর বয়সি অস্ট্রেলীয় ট্যারান্টকে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কয়েদির পোশাকে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় বিচারকের সামনে নিয়ে আসা হয় তাকে। এ দিন দক্ষিণ অইল্যান্ডে হাইকোর্টে পেশ করা হয় ব্রেন্টনকে। বিচারকের সামনে একটি কথাও বলতে শোনা যায়নি তাকে। পুরো বিচার পর্বই তাকে ঠোঁট চেপে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে কাঠগড়ায়। তবে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মাঝে মাঝে শুধু হাতের ইশারায় বোঝাবার চেষ্টা করছিল, সব ঠিক আছে।
পুরো সময়ই ছিল শান্ত। মসজিদের ভিতর হত্যালীলা চালানোর সময় যে বিভৎসতা দেখা গিয়েছিল, এ দিন যেন সব কিছুই উধাও। পুলিশ আধিকারিকরা যখন হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়ে আসছিলেন ব্রেন্টনকে, তখন আদালত চত্ত্বরেই ছিলেন কয়েকশো সাংবাদিক। ছিলেন চিত্র সাংবাদিকরা। ট্যারান্টকে দেখেই ছবি তুলতে তৎপর হয়ে উঠেন তাঁরা। ‘হতাশ’ করেননি ট্যারান্টও। মুচকি হাসিতে পোজও দেয়। তার পরই বিচারকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। বিচারক তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী শুনানি ৫ এপ্রিল।
জানা গিয়েছে, জামিনের কোনও আবেদন জানানো হয়নি ট্যারান্টের তরফে। তার নাম গোপন রাখারও কোনও আবেদন ছিল না। তবে বিচারক পল কেলার হামলাকারী ট্যারান্টের ছবি তোলা ও ফুটেজ নেওয়ার অনুমতি দিলেও তিনি বিচার সম্পর্কিত অধিকার বজায় রাখতে ছবি প্রকাশের সময় মুখ ঝাপসা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা