ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেঙ্গালুরু অ্যাপারেল সোর্সিং উইকে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ১৬ মার্চ ২০১৯

বেঙ্গালুরু অ্যাপারেল সোর্সিং উইকে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতে বাংলাদেশী তৈরি পোশাকের বাজার সম্প্রসারনের লক্ষ্যে বেঙ্গালুরু’তে চলমান অ্যাপারেল সোর্সিং উইকে বাংলাদেশ থেকে ২৩টি পোশাক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করছে। ১৫ মার্চ থেকে ভারতের বেঙ্গালুরুর আইটিসি গার্ডেনিয়াতে দু’দিনের মেলা শুরু হয়েছে এবং এই মেলা আয়োজনে বিজিএমইএ সহযোগিতা প্রদান করছে। অ্যাপারেল সোর্সিং উইকের প্রথম এডিশন উদ্বোধন করেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এবং সহ সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির, যেখানে কর্ণাটক সরকারের বানিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মূখ্য সচিব গৌরব গূপ্তও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বিগত বছরগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ এর সম্পর্ক আরও দৃঢ়তর হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একটি গুরুত্বপূর্ন গন্তব্যস্থল হওয়ার কারনে ভারত ইতোমধ্যেই আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন উন্নয়ন সহযোগি হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৪ শতাংশই তৈরি পোশাকখাত থেকে আসে। অন্যদিকে, ভারতের মধ্যবিত্ত সমাজ যাদের কিনা উল্লেখযোগ্য ক্রয় ক্ষমতা আছে, তাদের আকার ক্রমেই বাড়ছে। তাই বাংলাদেশ সহজেই ভারতে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারে। কর্ণাটক সরকারের বানিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মূখ্য সচিব গৌরব গূপ্ত তার বক্তব্যে অ্যাপারেল সোর্সিং উইক আয়োজককারীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বেঙ্গালুরু শুধুমাত্র বৃহৎ প্রযুক্তি কেন্দ্র নয়, বরং এটি পোশাকসহ সব শিল্পের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব। এখানে রিটেইল খাতও খুবই শক্তিশালী, এবং আমি নিশ্চিত এই অ্যাপারেল সোর্সিং উইকের প্ল্যাটফর্ম সকল ব্র্যান্ড ও রিটেইলার’দের জন্য উইন উইন পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং একইসাথে এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন রপ্তানি সুযোগ এনে করবে। পারেল সোর্সিং উইক এর এডিটর-ইন-চিফ দীপক মহিন্দ্র তার বক্তব্যে বলেন, ৬ মাস আগে থেকে আমরা অ্যাপারেল সোর্সিং উইক এর ধারনা নিয়ে কাজ শুরু করি। আমরা দেখি যে সাফল্যের জন্য আসলে ৩টি বিষয় দরকার। এগুলো হলো সুযোগ, জ্ঞান ও উৎসাহ। আমরা সাগ্রহে প্রতীক্ষায় রয়েছি, মেলার এ দুদিনে যে ব্যবসাগুলো তৈরি হচ্ছে, তা দেখার জন্য। দুদিনের মেলা চলাকালে সেমিনার, প্যানেল আলোচনা, ভেন্ডর ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের আয়োজন রাখা হয়েছে। মেলার দ্বিতীয় দিন ফ্যাশন ইম্পোর্ট শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বিজিএমইএর সহ সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ বর্ডার ও বেশ কয়েকটি স্থল শূল্ক বন্দর রয়েছে। ২০১৬ সালে সাফটা চুক্তি কার্যকর হওয়ায় মূক্ত বানিজ্য চূক্তির পাশাপাশি এ দুটি দেশের মধ্যে ভৌগলিক সুবিধাও রয়েছে। কিন্তু এসব সুবিধা থাকা ¯সত্তেও আমাদের বানিজ্য কাক্সিখত পর্যায়ে যেতে পারেনি। দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বানিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার জন্য পোশাক এবং বস্ত্রখাত খুবই সম্ভনাময়ী খাত। অ্যাপারেল সোর্সিং উইক-২০১৯ এ বাংলাদেশ থেকে যেসব পোশাক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করছে, সেগুলো হলো, লায়লা ষ্টাইলস, বান্দো ডিজাইন, যমুনা অ্যাপারেলস, এনার্জিপ্যাক ফ্যাশনস, আনোয়ারা নিট কম্পোজিট, সোনিয়া এন্ড সুয়েটারস, প্যাসিফিক জিনস, ইউনিভার্সাল জিনস, গ্রামটেক নিট ডাইং ফিনিশিং এন্ড গার্মেন্টস, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ, স্ট্যান্ডার্ড ষ্টিচেস, এপেক্স টেক্সটাইল প্রিন্টিং মিলস, পাকিজা নিট কম্পজিট, ওয়েল গ্রুপ, আনজির অ্যাপারেলস, আনজির টেরিটাওয়েল, ইপিক গ্রুপ, কে উনটং অ্যাপারেলস, লেনি ফ্যাশনস, কে.সি বটম এন্ড শার্ট ওয়্যার কোম্পানি, আরবিএসআর ফ্যাশনস, ডেনিম্যাচ এবং গ্রীন স্মার্ট শার্টস।
×