ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসএমএমইউর রাজন কর্মকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ১৯ মার্চ ২০১৯

বিএসএমএমইউর রাজন কর্মকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজন কর্মকারের (৩৯) মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ সেলিম রেজা জানান, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। মরদেহের হার্ট ও ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। রাজনের মামা সুমন কর্মকার জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাজনের মরদেহ নেয়া হবে বিএসএমএমইউতে। এরপর নোয়াখালী গ্রামের বাড়িতে সৎকার করা হবে। এদিকে ডাঃ রাজনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ও সহকর্মীদের দাবির মুখে একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। তবে এ বিষয়ে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী জানান, একটি অভিযোগ গ্রহণ করে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরইমধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, রবিবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে রাজনকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাজন বিএসএমএমইউর ওরাল এ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী মজুমদার বিএসএমএমইউর সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদারের মেয়ে জামাতা। পুলিশ জানায়, রাজনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। জানা যায়, রাজন কর্মকার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অষ্টম ব্যাচের (বিডিএস) ছাত্র ছিলেন। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার এখলাসপুরে। তার বাবার নাম সুনীল কর্মকার।
×