ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মানে-মিলনারের গোলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার লিভারপুলের

প্রকাশিত: ১২:০৯, ১৯ মার্চ ২০১৯

মানে-মিলনারের গোলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার লিভারপুলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের শিরোপা খরা কাটানোর স্বপ্ন বুনছে লিভারপুল। এ লক্ষ্যে মৌসুমের শুরু থেকেই কক্ষপথে থাকা দলটি মাঝখানে শীর্ষস্থান হারিয়েছিল। তবে আবারও তারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের এক নম্বরে উঠে এসেছে। রবিবার রাতে এ্যাওয়ে ম্যাচে স্বাগতিক ফুলহামকে ২-১ গোলে হারিয়েছে অতিথি লিভারপুল। দ্য রেডসদের হয়ে গোল করেন সাডিও মানে ও জেমস মিলনার। তবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে জার্গেন ক্লপের দল। সিটিজেনরা পরের ম্যাচে জিতলে আবারও দুইয়ে নেমে যেতে হবে লিভারপুলকে। পরশু রাতের আরেক ম্যাচে এভাটরটনের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছে চেলসি। বর্তমানে ৩১ ম্যাচে ২৩ জয় ও সাত ড্রয়ে শীর্ষে ওঠা লিভারপুলের পয়েন্ট ৭৬। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে পেপ গার্ডিওলার সিটি। ৬১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে টটেনহ্যাম হটস্পার। চার নম্বরে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৬০। ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে আগের ছয় নম্বরেই আছে চেলসি। প্রতিপক্ষের মাঠে ছন্দে থাকা সাডিও মানের নৈপুণ্যে ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। বাঁ দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে রবার্টো ফিরমিনোর সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে প্লেসিং শটে গোলটি করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে শেষ তিন ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন মানে। চলতি লীগে এটা তার ১৭তম গোল। গোলদাতাদের তালিকায় এক ধাপ উপরে উঠে যৌথভাবে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে কর্নারে মানের হেড ক্রসবারে বাধা পায়। এর দুই মিনিট পর নিজেদের ভুলে উল্টো গোল হজম করে লিভারপুল। ডিফেন্ডার ভার্জিল ভন ডাইক ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে হেডে গোলরক্ষকের উদ্দেশে বল বাড়ান। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি এগিয়ে আসা গোলরক্ষক এ্যালিসন। ফাঁকায় বল পেয়ে সহজেই ফুলহামকে সমতায় ফেরান ২০০৭-১১ পর্যন্ত লিভারপুলে খেলা ডাচ ফরোয়ার্ড রায়ান বাবেল। তবে ম্যাচের ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লিভারপুলের হয়ে জয়সূচক গোল করেন মিলনার। ডি বক্সে মানে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় অতিথিরা। আরেক ম্যাচে এভারটনের বিপক্ষে প্রথম পর্বে পয়েন্ট হারানোর প্রতিশোধ নেয়া দূরে থাক, হেরেই গেছে চেলসি। অধিকাংশ সময় বল দখলে রাখার পাশাপাশি প্রথমার্ধে আক্রমণে আধিপত্য করা চেলসি অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু এ সময় ইডেন হ্যাজার্ডের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। বিরতির আগে আরও দুটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিল অতিথিরা। কিন্তু জর্জিনহো ও রস বার্কলির প্রচেষ্টা রুখে দেন এভারটনের ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। বিরতির পর ৪৯ মিনিটে ইংলিশ ফরোয়ার্ড ডমিনিক কালভার্ট-লুইনের হেড ঝাঁপিয়ে ফেরান চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগা। কিন্তু দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফাঁকায় বল পাল্টা হেডে জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। ৫৯ মিনিটে চেলসিকে সমতায় ফেরাতে ব্যর্থ হন গঞ্জালো হিগুয়াইন। উল্টো ৭২ মিনিটে আরেক গোল হজম করে হার নিশ্চিত হয়ে যায় ব্লুজদের। রিচার্লিসন ডি বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। জিলফি সিগার্ডসনের স্পট কিক রুখে দেন কেপা। কিন্তু ফিরতি বল সামনে পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন আইসল্যান্ডের এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের শেষ দিকে ইংলিশ ফরোয়ার্ড ক্যালাম হাডসন-ওডোইয়ের শটও পিকফোর্ড রুখে দিলে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি চেলসি। এর ফলে মৌসুমে সপ্তম হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ২০১৬-১৭ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা।
×