ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কংগ্রেস নয়, বিজেপিকে হারাতে বিএসপির জোটই যথেষ্ট

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ২০ মার্চ ২০১৯

কংগ্রেস নয়, বিজেপিকে হারাতে বিএসপির জোটই যথেষ্ট

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলে সোমবার লক্ষ্মৌয়ে গিয়েই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘোষণা করেন, মায়াবতী-অখিলেশদের জন্য সাতটি আসন ছেড়ে দেবে কংগ্রেস। চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি, মায়াবতী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘দেশের কোথাও কংগ্রেসের সঙ্গে বিএসপির সমঝোতা নেই। কংগ্রেস যেন বিভ্রান্তি না ছড়ায়। বিজেপিকে হারাতে বিএসপির জোটই সক্ষম।’ উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কাকে নামিয়ে রাহুল যে আচমকাই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবেন, আগে ভাবেননি মায়াবতী-অখিলেশ। তারা যাতে কংগ্রেসের সঙ্গে অন্তত ১৫টি আসনে সমঝোতা করেন, চাপ রেখে এমন আলোচনা শুরুও করেছিল কংগ্রেস। অখিলেশ আলোচনায় রাজিও ছিলেন। কিন্তু অনড় থাকেন মায়বতী। কংগ্রেসের সঙ্গে কোন রকম সমঝোতায় রাজি নন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। কংগ্রেস যে সাতটি আসন ছেড়ে দেয়ার কথা জানায়, তার মধ্যে বেশিরভাগই সমাজবাদী পরিবারেরই আসন ছিল। মুলায়ম সিং, অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল, রামগোপাল যাদবের ছেলের আসনও কংগ্রেস ছেড়ে দেয়ার কথা জানায়। সঙ্গে অখিলেশ ও মায়াবতী কোন আসনে লড়লে সেখানেও প্রার্থী না-দেয়ার কথা জানিয়েছিল রাহুলের দল। সেদিক থেকে এটি অখিলেশের জন্য সুখবরই ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে মায়াবতী এমন শক্ত অবস্থান প্রকাশ্যে নিয়ে ফেলায় অস্বস্তিতে পড়েন অখিলেশ। মায়াবতী টুইটে লেখেন, ‘বিএসপি আরও একবার স্পষ্ট করে দিতে চায়, উত্তরপ্রদেশসহ গোটা দেশে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের কোন ধরনের সমঝোতা বা জোট নেই। কংগ্রেস যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, আমাদের লোকেরা যেন তার শিকার না হয়। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস একেবারেই স্বতন্ত্র। ৮০টি আসনেই তারা প্রার্থী দিক। আমরা বিজেপিকে হারাতে সক্ষম। উত্তরপ্রদেশের সাতটি আসন ছেড়ে দেয়ার কথা বলে কংগ্রেস যেন ভ্রান্তি তৈরি না করে।’ মায়াবতীর এই অবস্থানের পর অখিলেশও দলে আলোচনায় বসেন। সূত্র জানায়, বিএসপি নেত্রীর পক্ষ থেকেও তাকে বার্তা দেয়া হয়, কংগ্রেসের বিভ্রান্তি নাকচ করার। মায়াবতীর টুইটের আড়াই ঘণ্টা পরে অখিলেশও টুইট করেন, ‘উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি-আরএলডির জোট বিজেপিকে হারাতে সক্ষম। কংগ্রেস যেন বিভ্রান্তি না ছড়ায়।’ প্রিয়াঙ্কা জবাবে বলেন, ‘আমরা একাই নির্বাচনে লড়ছি। অন্য কারও সঙ্গে আমাদের কোন লেনদেন নেই, কাউকে বিরক্ত করার ইচ্ছাও নেই। আমাদের লক্ষ্য বিজেপিকে পরাজিত করা, তাদেরও সেটাই লক্ষ্য।’ উত্তরপ্রদেশে গত বিধানসভা ভোটেও রাহুল-অখিলেশ জুটি একসঙ্গে প্রচার করেছিলেন। ‘ইউপি কে দো লড়কা’ স্লোগানে ঘুরেছিলেন গোটা রাজ্য। অখিলেশের ঘোষণার পর এবারে সেই সম্ভাবনারও আপাতত অবসান হলো।
×