ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট

ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ২০ মার্চ ২০১৯

ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে

ঘূর্ণিঝড় ইদাইয়ের তা-বে মোজাম্বিকে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফিলিপে নিয়ুসি। সোমবার হেলিকপ্টারযোগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা পরিবদর্শনের পর তিনি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। নদীতে মৃতদেহ ভাসতে দেখার বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় ইদাই বৃহস্পতিবার সমুদ্র থেকে উঠে এসে ঘণ্টায় ১৭৭ কিমি বাতাসের গতিবেগ নিয়ে মোজাম্বিকের বন্দর শহর বেইরার নিকটবর্তী স্থলভাগে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টির কারণে শহরটির রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায় এবং বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এতে মোজাম্বিকের চতুর্থ বৃহত্তম এ শহরটি কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ত্রাণ দলগুলোর পক্ষে রবিবারের আগে শহরটিতে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। পাঁচ লাখ বাসিন্দার এই শহরটির প্রতিটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক ত্রাণকর্মী। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর জেরাল্ড বুর্ক নামের এই কর্মী বলেন, ‘কোন ভবন অক্ষত নেই। পুরো শহরে বিদ্যুত নেই। টেলিযোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ছিঁড়ে পড়া বৈদ্যুতিক তারগুলো রাস্তাগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অনেক বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে, দেয়ালও ধসে পড়েছে। শহরটির অনেক বাসিন্দা তাদের বাড়ি হারিয়েছেন।’ প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বন্যার পর মোজাম্বিকে সরকারীভাবে নিহতের সংখ্যা ৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের অধিকাংশই বেইরার আশপাশে নিহত হয়েছেন বলে শহরটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ভেঙ্গে পড়া গাছ ও উড়ে আসা বস্তুখ-ের আঘাতে দেড় হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন বলে রাজধানী মাপুতোতে থাকা সরকারী কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ইদাইয়ের তা-বে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশে মৃতের সংখ্যা সরকারীভাবে অন্তত ৩০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট (আইএফআরসি) ক্ষয়ক্ষতিকে ‘ব্যাপক ও ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছে। লোকজনকে গাছ থেকে উদ্ধার করতে হয়েছে বলে আইএফআরসির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ টিমের প্রধান জেমি লেজ্যুর বিবিসিকে জানিয়েছেন।
×