ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ বিশ্ব সুখী দিবস

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ২০ মার্চ ২০১৯

আজ বিশ্ব সুখী দিবস

সমুদ্র হক ॥ দিনটি নিভৃতে এসে নীরবেই চলে যায়। রেখে যায় জীবনের হাসি কান্না সুখ দুঃখের মধ্যেও কিছুটা আনন্দ। কিছুটা সুখানুভূতি। আপন হৃদয়ের সুপ্ত কোণে খুঁজে নেয় সুখের এক নির্মল পরশ। জাতিসংঘ ঘোষিত অনেক দিবস যেমন ঘটা করে প্রচার করা হয় তেমনই অনেক দিবস আড়ালেই চলে যায়। প্রত্যেক মানুষ চায় সুখী হতে। সুখের সংজ্ঞা কি! বিশে^র কোন মনোস্তাত্ত্বিক গবেষণা করেও সুখের প্রকৃত সংজ্ঞা দিতে পারেননি। সুখ খুঁজে নিতে হয়-সুখ লুকিয়ে আছে নিজের মধ্যে, নিজের কর্মের মধ্যে। এমন একটি মনোস্তাত্ত্বিক জটিল বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে জাতিসংঘ ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের বিশেষ অধিবেশনে প্রতিবছর ২০ মার্চকে “ইন্টারন্যাশনাল ডে অব হ্যাপিনেস” ঘোষণা করে। বাংলা ভাবার্থ করলে দাঁড়ায় ‘বিশ^ সুখী দিবস।’ জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব বান কি মুন জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশের কাছে বার্তা পাঠালে তারা দিবসটি পালনে সম্মতি দেয়। পরবর্তী বছর ২০১৩ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়। এই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় গণতন্ত্র উত্তরণে অবিসংবাদিত নেতা নেলসন মেন্ডেলার নাতি এনডাবা মেন্ডেলা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের কন্যা চেলসি ক্লিনটন বিশে^র সকল মানুষকে সুখী হওয়ার প্রার্থনা করেন। তারা প্রতিবছর এই দিনে বিশ^কে সুখী রাখার একটি উপায় বা ইস্যু নিয়ে প্রতিটি দেশকে কাজ করার আহ্বান জানান। যাতে মানুষ নিজেকে সুখী করে রাখার পথ খুঁজে নেয়। এরপর গত ছয় বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এই দিবসটির ধারণা দেন বিশে^র অন্যতম ফিলানথ্রপিষ্ট (মানবহিতৈষী) জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা জায়মি ইলিয়েন। তার শিশুবেলা কেটেছে ভারতের কলকাতায়। পথের ধারে পড়ে থাকা এক এতিম শিশুকে কোলে তুলে নেন মাদার তেরেসা। এই শিশুকে দত্তক নেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ বছর বয়সী একজন সিঙ্গল মাদার এ্যানা বিলি ইলিয়েন। সেই থেকে জায়মি ইলিয়েন মার্কিন নাগরিক হয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে মানব প্রেমিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি নিজেকে দিয়ে বুঝতে পারেন মানব জীবনে সুখের প্রয়োজন কতটা।
×