ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তুরাগ ও বংশি নদীর মোহনায় উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ১৯ মার্চ ২০১৯

তুরাগ ও বংশি নদীর মোহনায় উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিআইডাব্লিউটিএর চলমান উচ্ছেদ অভিযানের ১৯ তম দিনে আরও ৩১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার গাবতলীর বিপরীত পাশে তুরাগ ও বংশি নদীর মোহনায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালান হয়। মীরপুরের বড় বাজার এলাকায়ও অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বড় বড় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। নদী দখল মুক্ত করতে আমিন বাজার ব্রীজ হতে মিরপুর জহুরাবাদ পর্যন্ত নদীর উভয় তীর এই অভিযান চলে। এসময় নদীর জায়গা ভরাট করে জমির মালিকানা দাবি করে স্থানীয়রা। তবে বিআইডাব্লিটিএ নদীর প্রকৃত সীমানা ধরে দখল মুক্ত করে প্রায় দুই একর জমি। ভবিষ্যতে যাতে নদীর পাড়ে কেউ স্থাপনা তৈরি করতে না পারে এজন্য নদীর দুই পাড়ে স্থায়ীভাবে ওয়াকওয়ে ও নতুন করে সীমানা পিলার স্থাপনের সীদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডাব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে বিআইডাব্লিটিএর যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দীন বলেন, আমিনবাজার এলাকায় নদীর জায়গা দুইপাশ থেকে একেবারে সরু হয়ে গেছে। এতে ট্রাফিক য্যাম লাগার মত ঘটনা ঘটছে। এখানে দ্রুত খনন করে নদীর প্রশস্ততা বাড়ান জরুরী। এই ব্যাপারে আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তদের জানাব। আর স্থানীয় সাধারণ জনগন চলমান উচ্ছেদ অভিযানকে অব্যাহত রাখতে সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে খুশি প্রকাশ করেছে। আজকের উচ্ছেদ অভিযানে ৩১৭টি স্থাপনার মধ্যে রয়েছে দোতলা ২ টি, এক তলা ১৫ টি, বাউন্ডারী ওয়াল ১৪টি, আধা পাকা ঘর ৩৬ টি এবং টংদোকান ২৫০ টি। উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে বেশ কয়েকজন এলাকা বসি ব্যাপক খুশি প্রকাশ করে বলেন, সরকার এই উদ্যোগে আমার অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমরা আগের মত নদীতে গোসল করতে পারব। নদীতে সাঁতার কাটতে পারব প্রয়োজনে নদীর পানি ফুটিয়ে খেতে পারব এতে আমরা ব্যাপক খুশি। আগের মত নদীর পরিবেশ ফিরে পেলে আমরা অনেক রোগ বালাই থেকেও মুক্তি পাব। এজন্য সরকারে আমরা স্বাগতম জানায়। তবে চলমান এই অভিযান আগামীকাল সকাল ৯ টা থেকে তুরাগ নদীর তীরে মিরপুর বেরীবাঁধ জহুরাবাদ এলাকা থেকে পুনরায় অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ।
×