ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাথাপিছু আয় বেড়ে ১ হাজার ৯০৯ ডলার ;###;জিডিপির আকার দাঁড়াবে ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৭ কোটি টাকায়

জিডিপি ৮-এর ঘরে

প্রকাশিত: ১১:০০, ২০ মার্চ ২০১৯

জিডিপি ৮-এর ঘরে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন প্রথমবারের মতো ৮ শতাংশের ঘর ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রাক্কলন করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। অর্থবছরের প্রথম আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো যে হিসাব করেছে, তাতে ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে রেকর্ড ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিডিপি’র আকার দাঁড়াবে প্রায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৭ কোটি টাকায়। সেই সঙ্গে এবার বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে ১ হাজার ৯০৯ ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করছে সরকার। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এনইসি বৈঠকে দেশের সমগ্র প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়। এনইসি সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুত ও যোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (আরএডিপি) অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। একইসঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের ৯৬২০ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে দেশের উন্নয়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা ভাল হওয়ায় প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সব খাতে আয় ভাল হয়েছে। শিল্প, বিনিয়োগ, রেমিটেন্স- সব কিছুর প্রবৃদ্ধি ভাল হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ভাল হওয়ায় মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। গত বছর যেখানে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৭৫১ ডলার, তা এখন হয়েছে ১ হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থাৎ গত ছয় মাসের ব্যবধানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৫৮ মার্কিন ডলার। প্রায় এক দশক ৬ শতাংশের বৃত্তে ‘আটকে’ থাকার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ‘ঘর’ অতিক্রম করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত হিসেবে গত অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর গত অর্থবছর বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৭৫১ ডলার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেন তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে গত জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর থেকেই নতুন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলে আসছিলেন, প্রবৃদ্ধির হার এবারই আট শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। অর্থমন্ত্রী ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার দাঁড়াবে প্রায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৭ কোটি টাকায়। গত অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে জিডিপি ৩১.৫৭ শতাংশ বিনিয়োগে আসছে বলে এই হিসাবে ধরা হয়েছে। গত অর্থবছর এই হার ছিল ৩১.১৩ শতাংশ। এবারের বিনিয়োগের মধ্যে সরকারী খাতের অবদান ৮.১৭ শতাংশ, আর বেসরকারী খাত থেকে ২৩.৪০ শতাংশ আসছে বলে তথ্য দেন মন্ত্রী। প্রবৃদ্ধি সাধারণত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। বিবিএস’র তথ্য মতে, কৃষি খাতে চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ১৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বেসরকারী খাতকে প্রবৃদ্ধির ‘ইঞ্জিন’ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। যাতে বিনিয়োগকারীরা অধিকতর বিনিয়োগে উৎসাহী হন। এছাড়াও আগামী চার বছরে প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়। সংশোধিত এডিপি নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সংশোধিত এডিপিতে দারিদ্র্র্য বিমোচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুত, যোগাযোগ, আইসিটি ও কমসৃজন সহায়ক প্রকল্প প্রাধিকার পেয়েছে। ব্রিফিং-এ জানানো হয়, মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) আকার ছিল স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বরাদ্দ ছাড়া ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা অংশে বরাদ্দ ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫১ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্পের তদারকি নিশ্চিত করতে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে, আইএমইডির বিভাগীয় অফিস স্থাপন, জনবল ও যানবাহন বৃদ্ধি, কারিগরি প্রকল্পের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে ফসলি জমি বা জলাধার ব্যবহার করা যাবে না। প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই পিসিআর বা প্রকল্প সমাপ্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে প্রকল্পের গাড়ি, অফিস ও অন্যান্য সরঞ্জাম যথাস্থানে জমা দিতে হবে। প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশেই যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে পরামর্শক নিয়োগে গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া, প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে এবং একটি প্রকল্পের জন্য একজন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করতে হবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কারিগরি লোক পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে অনুমোদন সাপেক্ষে দুটি বা তার বেশি প্রকল্পে একজন পিডি থাকতে পারবেন। মন্ত্রী জানান, মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আকার ছিল স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বরাদ্দ ছাড়া ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা, সেখান থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা অংশে বরাদ্দ ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫১ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে সরকারী তহবিলের (জিওবি) অংশে মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে সংশোধিত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। তবে এসবের বাইরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়নসহ মূল এডিপির আকার ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেশনের ৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরে মোট সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। জানা গেছে, সংশোধিত এডিপিতে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রকল্পসহ মোট বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত প্রকল্প রয়েছে ১৯১৬টি। মূল এডিপিতে মোট প্রকল্প সংখ্যা ছিল ১৪৫১টি প্রকল্প। প্রকল্প বাড়ছে ৪৬৫টি। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দহীনভাবে ৯৮৭টি নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তির সুবিধার্থে ২৫৬টি বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে অনুমোদিত আরএডিপি। তিনি আরও বলেন, দেশে বহুমুখী উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে প্রকল্পের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, সংশোধিত এডিপিতে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বরাদ্দ হচ্ছে, সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুকূলে ২৪ হাজার ৪৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এছাড়া, বিদ্যুত বিভাগের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৩ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ পেয়েছে ১৯ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। এছাড়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৪২৯ কোটি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১৬৩ কোটি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ৯৮৩ কোটি, তথ্য মন্ত্রণালয় ২৩১ কোটি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৯৮ কোটি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১ হাজার ২০৫ কোটি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৩২১ কোটি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ১ হাজার ৭৪৫ কোটি, শিল্প মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৮৭ কোটি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৭১২ কোটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২ হাজার ১২৯ কোটি, কৃষি মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৮০৬ কোটি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৭৭৫ কোটি, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৫২৪ কোটি, ভূমি মন্ত্রণালয় ৬৩৪ কোটি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৫ হাজার ৮৫৯ কোটি, খাদ্য মন্ত্রণালয় ৬৪৫ কোটি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৯১৫ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয় ৭ হাজার ৯২৫ কোটি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৮৯৪ কোটি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ১ হাজার ২১ কোটি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৮৪৫ কোটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাদ্দ পাচ্ছে ৫৪১ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদ সচিবালয় ৭৩ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ২ হাজার ৭৩ কোটি টাকা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১ হাজার ৪১০ কোটি টাকা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৭৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, সরকারী কর্মকমিশন ৪৪ কোটি টাকা, অর্থবিভাগ ৪৩৪ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ৩৫৭ কোটি টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ৫৫ কোটি টাকা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ৪০ কোটি টাকা, পরিকল্পনা বিভাগ ১৫৬ কোটি টাকা, আইএমইডি ১০৪ কোটি টাকা, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৫৫১ কোটি টাকা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২৮৪ কোটি টাকা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৬৬ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা, আইন ও বিচার বিভাগ ৪৭২ কোটি, জননিরাপত্তা বিভাগ ১ হাজার ৫৫৬ কোটি, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ২ হাজার ১৪ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৬ হাজার ৮৩৯ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ৮৪৫ কোটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১ হাজার ১২২ কোটি টাকা এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এনইসি সভায় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×