ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতাবিরোধী খুনীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না

প্রকাশিত: ১১:১৩, ২০ মার্চ ২০১৯

স্বাধীনতাবিরোধী খুনীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ১৪ দল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। স্বাধীনতাবিরোধী খুনীদের আর কখনও ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। কোন চক্রান্ত সফল হতে দেবে না ১৪ দল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তবে দেশ যত এগিয়ে যাবে ষড়যন্ত্র ততবেশি হবে। শত্রুরা আঘাত হানার চেষ্টা করবে তাই সবার সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ পাকিস্তানী কায়দার পরিচালনা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে। সভাপতির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত দেশ গড়তে ১৪ দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। চক্রান্ত এখনও শেষ হয়নি, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিষদাঁত শেষ হয়ে যায়নি। তবে স্বাধীনতাবিরোধী খুনীরা যাতে আর কখনও ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য ১৪ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি-জামায়াত চেয়েও নব্য আওয়ামী লীগাররা ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন চারদিকে শুধু আওয়ামী লীগার। এ কারণে আমার ভয় হয়, আমি আতঙ্কিত। এই নব্য আওয়ামী লীগারদের অতীতে রাজপথে পাইনি। এরা বিএনপি-জামায়াতের চেয়ে ভয়ঙ্কর। মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর পাশে মুশতাকও কিন্তু ছিলেন। বর্ণচোরার দল নতুন রূপে নতুনভাবে আবির্ভূত হয়েছে। এ জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ১৪ দল চোখের মনির মতো শেখ হাসিনাকে রক্ষা করবে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোন দেশেই স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে পারেনি। চীন, ভারত, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর কোথাও তার জনককে অশ্রদ্ধা করা হয় না। বাঙালীর দুর্ভাগ্য জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকীর দিনে ভুয়া জš§দিনের নামে উল্লাস করা হয়েছে। এ কারণে জনগণ দ্বারা তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একাত্তর-পঁচাত্তরের খুনী ও জাতীয় নেতার খুনীদের বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করবে ১৪ দল। এদিন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যগুলো সংকলন আকারে নতুন প্রজন্মের মাঝে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িকতা, সামরিক শাসন ও তেঁতুল হুজুরদের কলঙ্ক মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িকতা, সামরিক শাসন ও তেঁতুল হুজুরদের কলঙ্ক মুছে ফেলি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি। এই কলঙ্ক যদি মুছতে চান বিভ্রান্ত হবেন না। পরহেজগার জঙ্গী বলে কিছু নেই। সৎ রাজাকার বলে কিছু নেই। সব জঙ্গী, সব রাজাকার মানুষরূপী দানব। দানবদের ধ্বংস করতে হবে। সাপের শেষ রাখতে নেই, বেইমানের কোন ক্ষমা নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা খুনী নই, আমরা পশু নই। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি।’
×