ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সু-প্রভাতের চালক মালিক হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ২০ মার্চ ২০১৯

সু-প্রভাতের চালক মালিক হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন রির্পোটার ॥ সু-প্রভাত পরিবহনের বাস চাপায় বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহম্মেদ চৌধুরী নিহতের ঘটনায় ‘ঘাতক’ বাসের চালক, তার সহকারী ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে নিহত আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহম্মেদ চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। গুলশান থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক খোরশেদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আবরারের নিহতের ঘটনায় তার বাবা ১৯ মার্চ দিনগত রাতে ২৭৯, ৩৩৮ (ক), ৩০৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩০। খোরশেদ আলম আরও জানান, মামলায় চালক, হেলপারসহ মালিককে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এদিকে আবারারের নিহতের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক গেট এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। এর ফলে প্রগতি সরণিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর শিক্ষার্থী আবরার আহম্মেদ চৌধুরী নিহত হয়। এছাড়া নিরাপদ সড়কের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নেমেছে। বুধবার সকাল নয়টায় জবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বর থেকে একটি মিছিল বের করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড়ে অবস্থান নেয়। এতে করে ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-দোহার রুটের একাংশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। যার মধ্যে ‘সুপ্রভাত, তুমি আরেকটা প্রভাতের সুযোগ দিলে না’, ‘জেব্রা ক্রসিং এ লাশ, নিরাপত্তা কোথায়? এম আই নেক্সট?’, ‘আর কত প্রাণ গেলে, সড়ক হবে নিরাপদ?’ ‘আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে বিচার হবে?’ ‘সেইম টু আওয়ার ট্রাফিক সিস্টেম’ প্রভৃতি। এছাড়াও রাজধানীর প্রগতি স্মরণী ও ফার্মগেটে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আমরা এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছি। আমরা আবরারসহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এ সময় ৮ দফা দাবি সম্বলিত এক প্লেকার্ড হাতে এক শিক্ষার্থীকে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়। যার মধ্যে, আবরারের হত্যাকারীকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি, সুপ্রভাত ও জাবালে নূর বাসের রুট পারমিট বাতিল, রাস্তায় রাস্তায় চেকিং সিস্টেম বন্ধ করা, প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বাস স্টপিজ, সিটিং সার্ভিস নামের ভণ্ডামি বাতিল করা প্রভৃতি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, রায়সাহেব বাজার মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের বড় জমায়েত হওয়া শুরু করেছে। এবং পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দি কলেজ, কলেজিয়েট স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও দলে দলে এসে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে।
×