আমাদের দেশে যেসব সার্টিফিকেট দিয়ে একজন মানুষকে শিক্ষিত বলে বিবেচনা করা হয় তা আজ সংশয়ের মুখে!
প্রকৃতপক্ষে; আমরা কিভাবে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট অর্জন করি?
পড়ে এবং লিখে অর্থাৎ পরীক্ষা দিয়ে। পড়াটা ও আবার দুইভাবে হতে পারে। এক. বুঝে শুনে আর দুই. গিলে বা মুখস্থ করে। যেভাবেই হোক না কেন, শিক্ষিত হবার সার্টিফিকেট আসে পরীক্ষা দিয়ে অর্থাৎ লিখে।
তার মানে, এই কেতাবি পড়া এবং লেখা আমাদের শিক্ষিত হবার একমাত্র মাপকাঠি। শিক্ষিত হবার এই প্রক্রিয়া আমাদের কোন কল্যাণ বয়ে আনার ক্ষমতা রাখে কি?
শিক্ষার সংকীর্ণ এই গ-ি থেকে আমরা বের হতে না পারলে, অচিরেই আমাদের মুখোমুখি হতে হবে বিপর্যস্ত মানবতার!
স্বাধীনতাকে যে শিক্ষা শুধুমাত্র শব্দগত অর্থে ধারণ করে; সে পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্র ফিরে যাবে প্রাগৈতিহাসিক সময়ে, এটাই স্বাভাবিক।
ভোগবাদী জীবন দর্শনের শব্দগত অর্থ ধারণ করে, পিতা কিংবা মাতার হাতেই এখন খুন হচ্ছে আপন সন্তান। এসব সংবাদ এখন অহরহ।
¯্রফে একশ’ টাকা ঘুষে অসম্মত হওয়ায় একজন বৃদ্ধকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সীমাহীন কষ্ট করে তুলতে হচ্ছে তার পেনশনের টাকা। অথচ ওপারে বসে যে মানুষটা ঘুষের জন্য কষ্টের পথ তৈরি করেছেন তারও হয়তো সময় হয়ে এসেছে পেনশনে যাবার! কতটা অন্ধ হলে একজন মানুষ তার নিজেরই সর্বনাশ করতে পারে এমনি করে। আজকের এক শ’ টাকার লোভে হয়তো কালকেই তাকে গুনতে হবে হাজার টাকা...এতটুকু ভবিষ্যত যে মানুষ তার শিক্ষা দিয়ে দেখতে শিখে না, সহজ সরল জীবনকে জটিলতার দুষ্টু চক্রে আটকে ফেলে তাহলে সে শিক্ষা নিয়ে কি সংশয় জাগা স্বাভাবিক না?
কাফরুল, ঢাকা থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: