ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ২৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত

প্রকাশিত: ১১:০৩, ২১ মার্চ ২০১৯

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ২৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত

গাফফার খান চৌধুরী ॥ বাস চাপায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো অচল হয়ে পড়েছিল ঢাকা। বেলা এগারোটা থেকে বিকেল প্রায় চারটা পর্যন্ত যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছিল পুরো রাজধানী। দ্বিতীয় দিনে ঢাকার বসুন্ধরা, বারিধারা, নদ্দা, ভাটারা, ধানম-ি, শাহবাগ, পুরান ঢাকাসহ বহু জায়গায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। অনেক জায়গায় শিক্ষার্থীরা আগের মতো গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করেছে। বিকেলে চলমান আন্দোলন আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে। মানুষের মন থেকে আতঙ্ক কেটে গেছে। স্থবির হয়ে পড়া ঢাকা আবার সচল হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত ছাত্র আবরারের নামে একটি ফুটওভার ব্রিজ করার জন্য ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারকে জরুরী খরচ হিসেবে দশ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বাস মালিক ও চালককে আসামি করে মামলা হয়েছে। ঘাতক বাসটির চালককে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রাজধানীতে ঘাতক সুপ্রভাত পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বাস দুটির রেজিস্ট্রেশন। যেভাবে নিহত হন আবরার ॥ গত ১৯ মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনের গেটে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী। এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের দুটি বাস পাল্লাপাল্লি করে যাচ্ছিল। তিনি তার মাঝে পড়ে যান। সেখান থেকে বের হয়ে সামনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসে উঠার সময় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের ধাক্কায় পড়ে যান। পরে বাসটি তাকে চাপা দেয়। বাসটি তাকে খানিকটা দূর টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এতে মারা যান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার। নিহত শিক্ষার্থী বসুন্ধরা এলাকার বাসিন্দা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আরিফ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। মঙ্গলবারই তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর জেরে মঙ্গলবার ঘটনার পর থেকেই ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড, নদ্দা, বারিধারা, ভাটারা, বাড্ডাসহ আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকালে কয়েকটি বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। একটি বাস পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটে। দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ ও যানবাহনের কাগজপত্র এবং চালকের লাইসেন্স চেক করে শিক্ষার্থীরা ॥ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়। পরে তারা বারিধারা, কুড়িল বিশ্বরোড, বাড্ডা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সেই সঙ্গে আন্দোলনকারীরা মোবাইল ফোনে নিজ নিজ ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেলা এগারোটার দিকে শাহবাগ মোড়, সাইন্সল্যাব মোড়, পুরনো ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সামনেসহ আশপাশের এলাকায়, উত্তরা কবি জসীমউদ্দীন সড়কের সামনে, বারিধারায়, নদ্দা ও বাড্ডাসহ ঢাকার অনেক জায়গায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে। দুপুর থেকে ফার্মগেট বিজ্ঞান কলেজ, ধানম-ি বয়েজ স্কুল, ডেফোডিল ইউনির্ভাসিটি, সাইন্সল্যাবের সিটি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দলে দলে রাস্তায় নামে। তারা রাস্তায় বাস ও অন্যান্য পরিবহন থামিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করে। আন্দোলনকারীরা গত বছর জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে নিয়ে নানা কথা ওঠে। সেই সাবেক মন্ত্রীকে প্রধান করে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করায় আপত্তি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের এই আন্দোলনে অনেক অভিভাবকও সায় দেন। তারাও আন্দোলনে শরিক হন। ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনের সংহতি প্রকাশ ॥ বিকেল চারটার দিকে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংসদের এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, সারাদেশে সড়ক পরিবহনে বিশৃঙ্খলা আছে। এজন্য নিরাপদ আন্দোলনে আমি সমর্থন করি। ডাকসুর দায়িত্ব নেয়ার পর প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি করে দেয়া হবে। যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলাচলকারী পরিবহনগুলো শৃঙ্খলা মেনে যাতায়াত করে। পর্যায়ক্রমে পুরো বাংলাদেশে পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করা হবে। চালকের লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র চেক করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চেকপোস্ট বসানো যেতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এর আগে মঙ্গলবার ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। স্থবির ঢাকায় মানুষের ভোগান্তি ॥ এদিকে চলমান আন্দোলনের কারণে মুহূর্তেই ঢাকার রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে বাড়তি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে আন্দোলনের খবর শুনে জরুরী প্রয়োজনেও নিজের গাড়ি বের করেননি। এছাড়া এমন আন্দোলনের কারণে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল একেবারেই হাতেগোনা। রাস্তায় বের হওয়া মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকার রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ॥ বেলা এগারোটার দিকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তারা শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে তারা যে জায়গায় আবরার নিহত হয়েছে ঠিক সেই জায়গায় আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে মেয়র জানান, ফুটওভার ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য আবরারের বাবাকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ছেলের মৃত্যু শোকে অধিক কাতর হওয়ায় আর আসতে পারেননি। পরে সেখানে উপস্থিত হন বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ-উল বারী। মেয়র বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, আটক চালকের ভারি যানবাহন চালানোর লাইসেন্স ছিল না। যে ড্রাইভার সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন, তার হালকা যান চলাচলের লাইসেন্স ছিল। এটি নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারি যান চালাচ্ছিলেন। এটা কীভাবে সম্ভব! তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী দ্রুত তার শাস্তির নিশ্চিত করতে তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘাতক সুপ্রভাত বাসের চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। যে দুটি বাসের চাপায় আবরারের মৃত্যু হয়েছে, সেই বাস দুটির রুট পারমিট (লাইসেন্স) বাতিল করা হয়েছে। পরে তারা শিক্ষার্থীরা তাদের কথায় আশ্বস্ত না হয়ে দাবি আদায়ে কর্মসূচী চালিয়ে যেতে থাকেন। আন্দোলন আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত ॥ দুপুর দুইটার দিকে মেয়রের সঙ্গে বিইউপির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসে। বৈঠক শেষ হতে হতে বিকেল প্রায় সাড়ে চারটা বেজে যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া ও বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারীসহ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। বৈঠক শেষে বিকেলে বিইউপির প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদুজ্জামান জানান, নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে, মানুষের দুর্ভোগ, কষ্টের কথা চিন্তা করে এগারো দফা দাবি মেনে নেয়ার কারণে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হলো। তবে দাবি পূরণ না হলে আবারও আন্দোলন হবে। বাস চালক সাত দিনের রিমান্ডে ॥ বুধবার দুপুরে ঘাতক বাস সুপ্রভাত পরিবহনের চালক সিরাজুল ইসলামকে (২৪) ঢাকার সিএমএম আদালতে সোপর্দ করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে গুলশান থানা পুলিশ। বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শুনানি শেষে আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। নিহতের পরিবারকে সাত দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ উচ্চ আদালতের ॥ জনস্বার্থে দায়ের করা এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। আদেশে নিহত আবরার আহাম্মেদ চৌধুরীর পরিবারকে সাত দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা খরচের জন্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আবরারকে চাপা দেয়া বাস সুপ্রভাত পরিবহনের মালিককে এই টাকা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহত এ শিক্ষার্থীর পরিবারকে কেন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। আদালত অপর এক রুলে বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন বেআইনী ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিএমপি কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক), সুপ্রভাত পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে বিআরটিএ, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, বুয়েটের এ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ সেন্টারকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি) শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলের ইউটার্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করেছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে তারা যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করে। এ সময় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জের সরকারী আদমজীনগর এম. ডব্লিউ. কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলের ইউটার্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। ‘স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে দিন, না পারলে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুর সুযোগ দিন’, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু আর নয়’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ লিখিত ব্যানার ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এবং মাথায় কাপড় বেঁধে তারা এই মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলারত সকল যানবাহন থামিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করে চলাচল করতে দিয়েছে। গাজীপুর ॥ নিরাপদ সড়কের দাতে গাজীপুরে বুধবার বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কয়েকটি মহাসড়ক ও সড়ক অবরোধ করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ, গাজীপুর সিকলেজসহ আশপাশের বেশ কয়েককলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ে এসে জড়ো হতে থাকে। এসময় তারা ওই এলাকার ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ ঢাকা-জয়দেবপুর সড়ক প্রদক্ষিণ করে। একপর্যায়ে তারা চান্দনা চৌরাস্তার মোড়ে মহাসড়কের ওপর বৃত্তাকার হয়ে দাঁড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। অবরোধের কারণে ওই মহাসড়ক ও সড়কগুলোতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
×