ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ট্রিপল ফ্রন্টিয়ার

প্রকাশিত: ১২:৩১, ২১ মার্চ ২০১৯

ট্রিপল ফ্রন্টিয়ার

৫ জন স্পেশাল ফোর্স সদস্য। দেশের জন্য গায়ে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট চাপিয়ে আর রাইফেল নিয়ে অসংখ্য অপারেশন পরিচালনা করেছেন। পরিস্থিতি যতই খারাপ থাকুক না কেন নিখুঁতভাবে লক্ষভেদ করতে যেন এদের কোন জুড়ি নেই। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস বড়ই নির্মম। ভয়ানক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার মানুষগুলো ভীষণ অর্থ সঙ্কটে পড়ে। মেয়েকে কলেজে পর্যন্ত পড়ানোর টাকা নেই তাদের একজনের। বাকিদের অবস্থাও একই। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এই অবস্থার মধ্যে দলের এক সদস্য সান্তিয়াগো এক টাকার খনির সন্ধান পান। দক্ষিণ আমেরিকার একটা দেশে পর্বত জঙ্গলের ভেতরের একটা বাড়ির কথা জানতে পারেন সান্তিয়াগো। বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করা একজন জানান বাড়িটা এক মাদক স¤্রাটের আস্তানা এবং সেখানে টাকার সেফ হাউজ আছে। বহুদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে তিনি জানতে পারেন বাড়িতে ৭৫ মিলিয়ন ডলার আছে। লোভ স্পর্শ না করা এই দলটা এবার পেটের দায়ে সম্পূর্ণ অবৈধ মিশনের সিদ্ধান্ত নেয়। ঝটিকা এক অভিযানের পর সান্তিয়াগোর দল আবিষ্কার করে বাড়িটা ওই এলাকার সব মাদক ব্যবসায়ীর সেফ হাউজ। ২৫০ মিলিয়ন ডলার লুট করার পর আরও কয়েকজন বিলিয়ন ডলার তারা জ্বালিয়ে দেয়। এবার তাহলে ফেরার পালা। আর গল্পের টুইস্ট শুরু এখান থেকেই। হঠাৎই পাল্টা আক্রমণে আহত হয় একজন। জঙ্গল, নদীর ভেতর দিয়ে যেতে হবে রানওয়েতে। তারপর আল্পসের ওপর দিয়ে উড়ে সাগরে, সেখান থেকে সমুদ্র দিয়ে পালাবে সবাই। কিন্তু তারপর আর কোন কিছুই পরিকল্পনা মতো আগায় না। একের পর এক সমস্যা আসতে থাকে। ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বস্তাগুলো বিশাল এক ওজনের সৃষ্টি করে যেটা হয়ে দাঁড়ায় বড় সমস্যা। একপর্যায়ে ওজন সইতে না পেরে ক্রাশ করে হেলিকপ্টার। বরফাচ্ছাদিত দুর্গম পাহাড়, খাবারের অভাব, আহত সহকর্মী আর টাকা বহন করা- সবকিছু মিলে তাদের বেঁচে ফেরাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। পথে আসতে থাকে নতুন নতুন বিপদ। শেষ পর্যন্ত কি পৌঁছতে পারে তারা? সিনেমার কাস্টিং আকর্ষণীয়। চার্লি হানাম, বেন এ্যাফ্লেক, অস্কার আইজ্যাক, গ্যারেট হেডলান্ড, পেদ্রো প্যাসকেল অভিনীত এই সিনেমাতে দর্শক এ্যাকশনের স্বাদটা ভালভাবেই পাবেন। আইএমডিবিতে ৬.৭ এবং রটেন টমেটোতে ৭৩% রেটিং পেয়েছে ট্রিপল ফ্রন্টিয়ার। সবমিলে দর্শকদের হতাশ করেনি নেটফ্লিক্সের ছবিটি।
×