ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে ইরান

প্রকাশিত: ২২:১৭, ২১ মার্চ ২০১৯

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে ইরান

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি দামেস্কে ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অভিন্ন সীমান্তে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য এই তিন দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। সম্প্রতি ইরানের আল আলম টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেছেন। ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি, ইরাকের সেনাপ্রধান লে. জেনারেল ওসমান আল-গানিমি এবং সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আলী আব্দুল্লাহ আইয়ুবের মধ্যে ওই সমঝোতা হয়েছে। ত্রিপক্ষীয় সম্মেলনের অবকাশে ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান গতকাল (মঙ্গলবার) তিনটি বিপদজনক যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করেন এবং সেখানে অবস্থিত সিরিয়ান যোদ্ধা ও ইরানি সামরিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধে তেহরান-দামেস্ক সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সম্প্রতি তেহরানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে দেয়া সাক্ষাতে সিরিয়া সংকটের শুরু থেকেই দেশটির সরকার ও জনগণের প্রতি ইরানের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, "সিরিয়ার সরকার ও জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আমেরিকা, ইউরোপ ও তার আঞ্চলিক মিত্রদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং শেষ পর্যন্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।" সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, "সিরিয়ার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয় আমেরিকাকে ক্ষুব্ধ ও হতাশ করেছে এবং এখন তারা ইরাক ও সিরিয়ায় সামরিক অবস্থা গড়ে তুলে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ অবস্থায় ইরান ও সিরিয়া ঐক্যবদ্ধ থাকলে শত্রুদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।" পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তাকফিরি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাক ও সিরিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতার কারণে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় বিরাট সাফল্য এসেছে যার ইতিবাচক প্রভাব আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পড়েছে। সিরিয়ার অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইরান এগিয়ে আসে এবং ইরানের একমাত্র লক্ষ্য সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা। যতদিন পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের হুমকি থাকবে ততদিন পর্যন্ত সিরিয়া সরকার চাইলে ইরান সহযোগিতা দেয়া অব্যাহত রাখবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজন ঐকান্তিক ইচ্ছাশক্তি। সিরিয়া সরকারের অনুমতি ছাড়াই সেদেশে অবস্থিত বিদেশি সেনারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ ইরান ও ইরাকের সেনা প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাতে বলেছেন, ত্রিদেশীয় এই বৈঠক প্রমাণ করে আমাদের যুদ্ধ ক্ষেত্র ও শত্রু অভিন্ন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার অভিন্ন অবস্থান সন্ত্রাসীদের পরাজয়ের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। দামেস্কে ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন, একই সময়ে সিরিয়া ও ইরাকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ইরান। কারণ সন্ত্রাসীরা এই তিন দেশসহ সমগ্র এই এলাকার জন্য হুমকি।
×