ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দোল উৎসব পালিত

ব্রজগোপী খেলে হোলি...পিচকারি হাতে

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২২ মার্চ ২০১৯

ব্রজগোপী খেলে হোলি...পিচকারি হাতে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ফল্গুনী পূর্ণিমা তিথি। বসন্ত বাতাসে রঙের ছড়াছড়ি। বৃহস্পতিবার দোলযাত্রা বা দোলপূর্ণিমার বৈষ্ণবীয় উৎসবে আবির, রং ও পিচকারি নিয়ে রং খেলায় মাতোয়ারা ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের সব বয়সী ছেলে-মেয়ে, নর-নারী। সখ্য আর হাসি-আনন্দের পুনর্মিলনীই যে দোলযাত্রা। নিজেদের রাঙানোর পাশাপাশি অশুভ শক্তির বিনাশ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছেন পুণ্যার্থীরা। ঢাকাসহ সারাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনায় বৃহস্পতিবার শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা উৎসব পালন করেন। বসন্তের এই উৎসবটি বহির্বঙ্গে হোলি নামে পরিচিত। পুরাণ মতে, ফল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির, গুলাল নিয়ে রাধা ও গোপীদের সঙ্গে বৃন্দাবনে রং খেলছিলেন। সেই দ্বাপর যুগ থেকেই ফল্গুনী পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার মূর্তিতে আবির মেখে দোলায় চড়িয়ে কীর্তন করতে করতে শোভাযাত্রায় নামেন ভক্তরা। এরপর একে অপরের গালে আবির মেখে একে অপরের কল্যাণ কামনা করেন। দোলযাত্রা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে দোল উৎসব, পূজা ও কীর্তনের আয়োজন করে। মন্দিরে উপস্থিত নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই একে অপরকে রাঙিয়ে দেন আবির দিয়ে। পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার, শাঁখারীবাজার, লক্ষ্মীবাজারসহ হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ছেলে-মেয়ে, নর-নারী নানা রং দিয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে দোল উৎসব পালন করেন। রং ছিটিয়ে, নিজের বন্ধু-বান্ধবী ও সহপাঠীদের গায়ে-মুখে রং মেখে আবির উৎসবে (হোলি) মেতেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরাও। দুপুরে চারুকলার বকুলতলায় রং মেখে উৎসব শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ঢাক-ঢোলের তালে উৎসবের র‌্যালি বের করেন। র‌্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
×