ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফিরোজের কৃষি বাগান

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ২৩ মার্চ ২০১৯

  ফিরোজের কৃষি বাগান

মানুষ বৈচিত্র্য পছন্দ করে। নতুন কিছুর প্রতি মানুষের ঝোঁক চিরকালের। আর সেই নতুন চিন্তা যদি প্রয়োজনের বিকল্প হয় তাহলে তো কথাই নেই। ঠিক তেমনি একজন কৃষিপ্রেমী ফিরোজ উদ্দীন ভূঁইয়া। ব্যাংকের চাকরি থেকে অবসর নিয়ে তিনি গত দুই বছর ধরে একান্ত শখের বসে বাসার ছাদে সবজি-ফুলের বাগান গড়ে তোলেন। এখন তিনি অনেকের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। সব মিলে এ বাগানে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তায় সৃষ্টি হয়েছে বাণিজ্যিক আয়ের উৎস। তিনি ছাদে সবজি-ফুলের চাষের জন্য এ বিষয়ে নানা জ্ঞান আহরণ করেন। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে কৃষি বিষয়ক অনেক বই। বাসার একটি কক্ষেও গড়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত লাইব্রেরী। সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন প্রায় পাঁচ শতাংশ ভূমিতে নির্মিত ফিরোজ উদ্দীন ভূঁইয়ার তিনতলা বাসার ছাদে প্রথমে রোপণের উপযোগী বিশেষ কায়দায় তৈরি বীজতলায় চারা উৎপাদন করেন। পরে তিনি বাঁশের-কাঠের ও সূতার বেড়া দিয়ে বিভিন্ন জাতের ফলজ-ফুল আর সবজির চাষ করেন। এর মধ্যে রয়েছে মান্ডা, কমলা, স্কোয়াজ, পেঁপে, লাউ, বেগুন, লেবু, টমেটো, মরিচ, ডাটা, লাল শাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা। এছাড়াও তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার মহিনন্দে বাণিজ্যিকভাবে নিজের ও বর্গায় নেয়া প্রায় দুই একর জমিতে কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। সেখানে তিনি বিষমুক্ত জৈব সার ব্যবহার করে ভুট্টা, ঢেড়স, করলা, বেগুন, টমেটো, ডাটাসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদন করেছেন। এখানের উৎপাদিত সবজি বিক্রিতে খরচ মিটিয়ে তিনি অনেক লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কৃষি বাগান সম্পর্কে ফিরোজ উদ্দীন ভূ্ইঁয়া বলেন, অবসরের পর থেকে তিনি প্রতিনিয়ত কৃষিকর্ম পরিচর্চায় মত্ত রয়েছেন। নিজেই অধিকাংশ সময় কৃষি বাগানে শ্রম দেন। ভবিষ্যতে তিনি একটি সমন্বিত কৃষি খামার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। তিনি আরও বলেন, মহিনন্দ গ্রামে কোন টিউবওয়েল নেই। এটি বসানো গেলে এখানের উৎপাদিত কৃষির সাফল্যে দেশ অনেক উপকৃত হতো। সদর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, কৃষিবিদ ফিরোজ উদ্দীন ভূঁইয়া’র কৃষি খামার সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এলে সুপরিকল্পিত উপায়ে এ খাত থেকে যেমন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব তেমনি সম্ভব দেশের যুবশক্তিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উপ-সচিব তরফদার মোঃ আক্তার জামীল বলেন, অনেকের বাসার ছাদে খালি জায়গা পড়ে থাকে। -মাজহার মান্না, কিশোরগঞ্জ থেকে
×