ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্যাতক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী

চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৯:০০, ২৩ মার্চ ২০১৯

 চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ লাকড়ি চুরির অভিযোগ তুলে দুই শিশুকে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর ও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার বিষয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না গরিব পিতা। এতে বিনা বিচারে পার পেয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ও স্থানীয় প্রভাবশালী অবৈধ স’মিল ব্যবসায়ী। উখিয়ার পালংখালীর ভাদিতলী গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটার পর থেকে সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। স্থানীয় শিশুদের নির্যাতনকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জানায়, আমি হুকুম পালন করেছি মাত্র। আমাকে মিলের মালিক গফুর নির্দেশ দেয়ায় শিশুদ্বয়কে নির্দয় পেটানো হয়েছে। জানা গেছে, পালংখালীর ভাদিতলীর গোলাম বাড়ি রোডের ভেতরে অবৈধভাবে একটি স’মিল স্থাপন করেছে গফুর, ফয়সালসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী। সেখানে লাকড়ি আনতে যায় আরাফাত হোসেন ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামে দুই শিশু। ওই স’মিল সংলগ্ন গাছের সঙ্গে বেঁধে তাদের অমানবিক ও অমানুষিকভাবে নির্যাতন করে মিলের পাহারাদার রোহিঙ্গা হোসেন আহমদ ওরফে ধলাইয়া। নির্যাতিত শিশু দুই ভাই আরফাত ও ইব্রাহিম পালংখালী হালু ফকিরের ঘোনার মোহাম্মদ হোসেনের সন্তান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, পাহারাদার রোহিঙ্গা হোসেন আহমদ মধ্যযুগীয় কায়দায় শিশুদ্বয়কে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দুই শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে এনে চিকিৎসা দেয়। শিশুদের পিতা মোহাম্মদ হোসেন জানান, নির্যানতকারী রোহিঙ্গা হলেও স’মিলটির মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় অভিযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
×