ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওবায়দুল কাদের শঙ্কামুক্ত

প্রকাশিত: ১০:০৩, ২৩ মার্চ ২০১৯

 ওবায়দুল কাদের শঙ্কামুক্ত

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাইপাস সার্জারির পর ভাল আছেন। অপারেশনের পর তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। তার আইওবিপি মেশিন খুলে ফেলা হয়েছে এবং বাকি সব প্যারামিটার ভাল আছে। আগামী ৩/৪ দিন পর তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে। সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদের এমপির চিকিৎসা সমন্বয়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক এবং নিওরোলজিস্ট প্রফেসর ডাঃ আবু নাসার রিজভী শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় মেডিক্যাল বোর্ডকে উদ্ধৃত করে হাসপাতাল লবিতে উপস্থিত পরিবারের সদস্য ও অন্যদের এ তথ্য জানান। উল্লেখ্য, গত বুধবার মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। ডাঃ রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা এখন ভাল। অপারেশন পরবর্তী সঙ্কটও কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। একদিনের মধ্যে ওবায়দুল কাদেরের শরীরে লাগানো ট্রাকিয়াল টিউবটিও খুলে নেয়া হবে বলেই তাকে বলেছেন তার চিকিৎসকরা। এরপরই তাকে কেবিনে নেয়া হবে। ট্রাকিয়াল টিউব একজন রোগীর শরীরে সার্জারির পর লাগানো হয়। এর মাধ্যমে তার শ্বাসযন্ত্র পর্যাপ্তভাবে অক্সিজেন পায় ও কার্বনডাইঅক্সাইড ছাড়তে পারে। সার্জারির পরে আরও কিছুদিন হাসপাতালে রেখে শারীরিক অবস্থার রিভিউ করা হবে জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, এজন্য এক সপ্তাহ বা দশদিনের মতো কেবিনে রেখে হোটেল অথবা বার্থে পাঠানো সম্ভব হবে। এর সপ্তাহ খানেক পরে একটি ফলোআপ হবে। আর সেটি ভালভাবে সম্পন্ন হলে মধ্য এপ্রিলে তাকে দেশে নেয়া সম্ভব হতে পারে। গত ৩ মার্চ ভোররাতে ঢাকায় নিজ বাড়িতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃৎপি-ের রক্তনালীতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। তাকে দেখতে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ডেকে পাঠানোয় পরের দিন ঢাকায় আসেন ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী। তারই পরামর্শে ও অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে ৪ মার্চ বিকেলে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সে রাতেই একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। গত ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। সার্জারি করেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি। ডাঃ ফিলিপ কোহে এই চিকিৎসা বোর্ডের নেতৃত্বে রয়েছেন। শুক্রবার হাসপাতাল লবিতে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুল কাদেরের সহধর্মিণী ইসরাতুন্নেসা কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মীর্জা, আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্না, নাইমুজ্জামান মুক্তা, ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতির সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দীন, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওয়েলফেয়ার অফিসার মোঃ আল আমিন হোসেন প্রমুখ।
×