ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আইএস পরাজিত

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ২৪ মার্চ ২০১৯

আইএস পরাজিত

সিরিয়ার বাগহুজ অঞ্চল থেকে চূড়ান্তভাবে ইসলামিক স্টেট (আইএস) পরাজিত হয়েছে বলে মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) শনিবার জানিয়েছে। এক ঘোষণায় তারা বলেছে, তাদের স্বঘোষিত খিলাফতও সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়েছে। যা এক সময় সিরিয়া ও ইরাকের এক তৃতীয়াংশ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এসডিএফ ঘোষণা করেছে যে, তথাকথিত খিলাফত পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে। এসডিএফের মিডিয়া অফিস প্রধান মুস্তফা বালি টুইটারে লিখেছেন, বাগহুজ মুক্ত করা হয়েছে। দায়েশের বিরুদ্ধে সামরিক বিজয় সম্পন্ন হয়েছে। আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ও তাদের সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত তাদের পেছনে ধাওয়া করে যেতে থাকে। যুদ্ধ শেষের ঘোষণা দিলেও বাগহুজে থাকা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, তারা সেখানে এখনও মর্টার ও গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। চূড়ান্ত লড়াইয়ের যুদ্ধে গত কয়েক সপ্তাহে সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক লোককে উদ্ধার করে এসডিএফ। এই বিজয় তাই তাদের জন্য নতুন বছরের নওরোজ। ইরাকী সীমান্তে অবস্থিত বাগহুজ দখলে নিতে এসডিএফ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লড়াই করে যাচ্ছিল। ইসলামিক স্টেটের আরবী সংক্ষিপ্ত নির্দেশক হচ্ছে দায়েশ। যদিও বাগহুজে আইএসের পরাজয়ের ফলে আপাত দৃষ্টিতে সিরিয়া ও ইরাকে আগ্রাসনকারী জঙ্গীবাদী গোষ্ঠীটির পরাজয় হল। গোষ্ঠীটি ২০১৪ সালে ঘোষণা দিয়ে আইএস গঠন করে। তারপরও এরা এখনও সেখানে হুমকি। কেননা আইএসের কিছু যোদ্ধা এখন সিরিয়ার প্রত্যন্ত মধ্যাঞ্চলের মরুভূমি ও ইরাকী শহরগুলোতে আটকা পড়ে রয়েছে। তারা হঠাৎ করে গুলি ছুড়ে, অপহরণ বা অপহরণমূলক কর্মকা- ঘটানো ও আবার জেগে ওঠার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বাস করে আইএসের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি এখনও ইরাকে রয়েছেন। তিনি ২০১৪ সালে মসুলের মধ্যযুগীয় একটি মসজিদে দাঁড়িয়ে নিজেকে খলিফা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি সব মুসলমানের ওপর তার সার্বভৌমত্ব দাবি করেছিলেন। আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের অনুসারীরা পশ্চিমা দেশগুলোতে নতুন করে হামলা চালাতে পারে। তবুও বাগহুজের পতনটি বেশিরভাগ স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাহিনীর দ্বারা জঙ্গী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ে একটি বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে। এদের মধ্যে অনেকে তাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা চার বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চালাচ্ছিল। এটি সিরিয়ার আট বছরে গৃহযুদ্ধে একটি বড় মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে প্রধান একটি গোষ্ঠীকে ওই অঞ্চল থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। বাকিদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনী, তুর্কী সমর্থিত বিদ্রোহী ও কুর্দী নেতৃত্বাধীন এসডিএফের মধ্যে বিভক্ত হয়ে লড়াই করছে। আসাদ ও তার ইরানী মিত্রজোট চেষ্টা করছে পুরো সিরিয়া পুনর্দখল করার। তুর্কী এসডিএফের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। যারা এসডিএফকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মনে করে। উত্তর-পূর্ব সিরিয়াতে মার্কিন সেনাদের অব্যাহত উপস্থিতি এতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
×