ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গরম চা পানে হতে পারে খাদ্যনালীর ক্যান্সার!

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ২৪ মার্চ ২০১৯

গরম চা পানে হতে পারে খাদ্যনালীর ক্যান্সার!

গরম গরম চা, সঙ্গে বিস্কুট- অনেকেরই পছন্দ। এই খাবার দিয়েই সকালের নাস্তা সেরে নেন অনেকেই। তবে এখন থেকে এ অভ্যাস ত্যাগ করতে হতে পারে। কারণ ক্যান্সারের ঝুঁকি। প্রতিদিন ফুটন্ত চা পান থেকেই খাদ্যনালিতে ক্যান্সারের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। প্রেম থেকে বিরাগ, ঝগড়া থেকে বিতর্ক, রাজনীতি থেকে খেলা- সব কিছুতেই চায়ের সঙ্গত যেন আলাদা করে বিষয়টাকে উপাদেয় করে তোলে। এমন চা পানেও এবার আতঙ্কের কথা শোনাল আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্যান্সার’- এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীদের দাবি, খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বহু গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে ফুটন্ত চা খাওয়ার প্রবণতা। প্রায় প্রতিদিনই যারা ৭৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রার চা খান, তাদের এই ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা। ৪০-৭৫ বছরের মধ্যে বয়স, এমন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা। গবেষণা দলের প্রধান ফারহাদ ইসলামির মতে, ‘অনেকেই গরম নানা খাবার খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু গবেষণায় প্রমাণিত, খুব গরম চা যারা খান, তাদের এই অসুখের সম্ভাবনা বাড়ে। যে কোন গরম বেভারেজই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে গরম চায়ের ভূমিকা সবচেয়ে ক্ষতিকর। গলা থেকে পাকস্থলী এই অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যখন চা নামে, তখন এর গরম ক্যাফেইন খাদ্যনালীর গায়ে লাগতে থাকে। যা থেকে আলসার ও ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে।’ তার মতে, প্রতিদিন ৬০-৭৫ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চা খাওয়া মানুষের প্রায় ৯০ শতাংশই সচেতন না হলে এমন ক্যান্সারের শিকার হতে পারেন। গরম কফিও এড়িয়ে চলতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে গরম চায়ের যে ক্ষতি, তার চেয়ে গরম কফির ক্ষতি তুলনামূলক কম। হট চকোলেট বা অন্য কোন গরম পানীয়র ক্ষেত্রেও এই রোগের সম্ভাবনা বাড়ে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গবেষকরা। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকার বলেন, ‘যে কোন ফুটন্ত গরম খাবারই এড়িয়ে চলতে বলা হয় এই কারণেই। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনও (হু) ৬৫ ডিগ্রীর ওপর কোন পানীয় খেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইতোমধ্যেই। মুখ, গলা ও খাদ্যনালীতে হওয়া ফুয়েল টিউমারই এই ধরনের ক্যান্সারকে ডেকে আনে। বিজ্ঞানীরা চায়ের কথা বলছেন যেমন, তেমন পরবর্তীতে কফি বা অন্য বেভারেজেও এই নিষেধ আসতেই পারে।’
×