ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সমর্থন আদায়ে এমপিদের প্রভাবিত করার চেষ্টা টেরেসা মে’র

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ২৪ মার্চ ২০১৯

সমর্থন আদায়ে এমপিদের প্রভাবিত করার চেষ্টা টেরেসা মে’র

ব্রেক্সিট বিষয়ে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের সিদ্ধান্তহীনতার পর তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া সমর্থন করতে এমপিদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন মে। খবর এএফপির। এ সপ্তাহে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে ব্রিটেনকে অল্প কিছু দিন সময় দিয়েছেন নেতারা। প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে শুক্রবার সম্ভাব্য উপায় খুঁজে বের করতে এমপিদের কাছে চিঠি লিখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মে বলেছেন, আগামীতে যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য অবস্থান পরিবর্তন না করেন, তাহলে আগামী সপ্তাহে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ভোট আয়োজন করবেন না। মে তার পরিকল্পনায় ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের সমর্থন আদায় করতে চরম প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করছেন। এর আগে দুইবার তার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে ইইউয়ের সঙ্গে সমঝোতায় নতুন সময়সীমা ১২ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়। মে যদি সফল হন, তাহলে গতবছর ব্রাসেলসের সঙ্গে করা ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া বিষয়ে প্রত্যাহার চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আগামী ২২ মে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। কিন্তু এমপিরা যদি মের পরিকল্পনা সমর্থন না করেন, তাহলে ১২ এপ্রিলের মধ্যে ব্রিটেন আরও সময় বৃদ্ধির আহ্বান জানাতে পারে। নয়তো নো ডিল ব্রেক্সিটের মুখোমুখি হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে তার চিঠিতে লেখেন, যদি তার চুক্তি পাসের মতো যথেষ্ট সমর্থন আছে বলে মনে হয়, কেবল তাহলেই তিনি ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি হাউস অব কমন্সে উত্থাপন করবেন। তিনি তার চিঠিতে চারটি উপায়ের কথা লেখেন। প্রথমটি হলো- ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাতিল করা। তবে সেটি হবে গণভোটের ফলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। দ্বিতীয়টি হলো-কোন চুক্তি ছাড়াই আগামী ১২ এপ্রিল ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া- যেটিকে বেশিরভাগ এমপি সমর্থন করেন না। প্রধানমন্ত্রী মে লেখেন, ‘যদি মনে হয় যে পর্যাপ্ত সমর্থন রয়েছে এবং স্পীকার এটি উত্থাপনের অনুমতি দেন, তাহলে আগামী সপ্তাহে এটা পেশ করা হবে। আর এটি যদি অনুমোদন হয়, তাহলে ২২ মে আমরা ইইউ থেকে বেরিয়ে যাব। কিন্তু তিনি বলেন, যদি পর্যাপ্ত সমর্থন না থাকে এবং হাউস প্রত্যাখ্যান করে তবে ব্রিটেন আরও সময় বৃদ্ধিও আবেদন করবে এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে অংশ নেবে।
×