ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্ব আদায়ে ধস নামতে পারে নওয়াপাড়া নদীবন্দরে

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ২৪ মার্চ ২০১৯

রাজস্ব আদায়ে ধস নামতে পারে নওয়াপাড়া নদীবন্দরে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ দেশের বৃহৎ সারের মোকামখ্যাত যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নদীবন্দরে রেকর্ডসংখ্যক কার্গো ও জাহাজ নোঙর করেছে। সার, কয়লা, চাল, গম, ভুট্টা, পাথরসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য বোঝাই এসব কার্গো ও জাহাজ দেখে সমৃদ্ধির হাতছানি দিচ্ছে নওয়াপাড়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মনে। যদিও বিআইডব্লিউটিএ বন্দরের উন্নয়নে বরাবরই অবহেলা দেখিয়ে আসছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। নওয়াপাড়ার কয়েক শ’ ঘাটে রেকর্ডসংখ্যক কার্গো ও জাহাজ নোঙর করেছে। কাজ করছে হাজার হাজার শ্রমিক। আমদানিকারক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, নওয়াপাড়ায় ব্যবসা -বাণিজ্যে সমৃদ্ধির হাতছানি দেখা দিয়েছে। সারের পর কয়লার বৃহৎ মোকাম হিসেবে নওয়াপাড়া থেকে প্রতিদিন শত শত কোটি টাকার কয়লা, সিমেন্ট ও বিভিন্ন খাদ্যশস্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে, সরকারের এ বন্দর ঘিরে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও বেড়ে গেছে। তবে, ভৈরব নদের যৌবন ফিরিয়ে আনতে পারলে বন্দর থেকে দ্বিগুণের বেশি রাজস্ব আয় করতে পারবে সরকার। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিএ নামমাত্র উন্নয়ন ঘটালেও তা দৃশ্যমান হয়নি। তাছাড়া নদী খননে করা হয়েছে ব্যাপক কারচুপি। ফলে, বছরের অধিকাংশ সময় নদে নাব্য সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। এক বছর যাবৎ নওয়াপাড়া নদীবন্দরে বিআইডব্লিউটিএ এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বঙ্গ ড্রেজার খনন কাজ চালালেও তা তেমন কোন কাজেই আসেনি। এদিকে, নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় ভৈরব নদের তলদেশে পলি জমে আবারও নাব্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ভাটির সময় কার্গো জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। স্থানীয় ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও কার্গো মালিকদের দাবি, নওয়াপাড়া নৌবন্দরে যথাযথ খনন কাজ সম্পন্ন করে ভৈরব নদের যৌবন ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় বৃহৎ এ বন্দর মুখ থুবড়ে পড়বে। সরকার হারাবে হাজারও কোটি টাকার রাজস্ব। এ কারণে তারা বিআইডব্লিউটিএ’র উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সেই সঙ্গে নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন, ঘাট ও পোল তৈরিসহ নওয়াপাড়া নদীবন্দরের সার্বিক উন্নয়ন ঘটিয়ে এবং ভৈরব নদীর যৌবন ফিরিয়ে এনে নওয়াপাড়া ব্যবসায়ী মোকামকে আরও সমৃদ্ধ করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির দিকে নজর দেয়ার জন্য।
×