ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে জেলা জজের বাসায় পুলিশের তাণ্ডব

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ২৪ মার্চ ২০১৯

বাউফলে জেলা জজের বাসায় পুলিশের তাণ্ডব

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২৩ মার্চ ॥ বাউফল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এক জেলা জজ ও তার ভাইয়ের বাসায় তা-ব চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অর্ধশত আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এ হামলা চালানো হয়। পুলিশের এ তাণ্ডব থেকে রক্ষা পায়নি জেলা জজের ৮০ বছরের বৃদ্ধ মা। শুধু তাই নয়, জেলা জজের বাসার ১০টি ভাড়াটে পরিবারকেও নাজেহাল করা হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ঘরের আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ মোঃ আনিচুর রহমানের বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট রূপকথা ও তার ভাই সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল বিশ্বাসের বাসায় কোন কারণ ছাড়াই প্রায় অর্ধশত পুলিশ ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ প্রথমে জেলা জজ মোঃ আনিচুর রহমানের বাউন্ডারি দেয়া রূপকথা বাসার গেটের ডান পাশের গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। তার ওই বাসার পাশে আধাপাকা আরও একটি বাসা রয়েছে। ওই বাসায় ১০ পরিবারকে ভাড়া দেয়া হয়েছে। এক সঙ্গে অনেক পুলিশ দেখে বাসার ভাড়াটেরা আতঙ্কে দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ ভেতরে ঢুকতে না পেরে ভাড়াটেদের বন্ধ দরজায় লাথি মারতে থাকে। একপর্যায়ে মোর্শেদা বেগম নামের এক ভাড়াটে তার ঘরের দরজা খুলে দিলে পুলিশ ভেতরে ঢুকে রান্নাঘর ও টয়লেটের দরজা ভাংচুর করে। এরপর পাশেই জেলা জজের ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. কামাল বিশ্বাসের বাসায় ঢুকে লোকজনকে বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ করতে থাকে। এতে তার বৃদ্ধ মাসহ বাসায় অবস্থানরত ২০-২৫ জন আহত হয়। কামাল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, তিনি আসন্ন বাউফল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঘটনার সময় তিনি বাসায় বসে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় অর্ধশত পুলিশ তার বাসায় ঢুকে পড়ে এবং তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তার কর্মী সমর্থকদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এতে নওমালা ইউনিয়ন যুবলীগের তিন নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন গাজী, আবদুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব গাজী, রুবেল বিশ্বাস, অন্তর মৃধা, মেহেদী বিশ্বাস, জহির উদ্দিন ও তার বাসার কেয়ারটেকার আলাউদ্দিনসহ অর্ধশত লোক আহত হয়। এদের মধ্যে পুলিশের লাঠির আঘাতে রুবেল বিশ্বাসের মাথায় জখম হয়। এছাড়াও তার বাসার কেয়ারটেকার আলাউদ্দিনের হাত ভেঙ্গে যায়। পুলিশের লাঠির আঘাতে তার ৮০ বছরের বৃদ্ধ মা সাফিয়া বেগমও আহত হন।
×