ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ডিএনসিসির মশক নিধনে ১৫ দিনব্যাপি ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ২৩ মার্চ ২০১৯

ডিএনসিসির মশক নিধনে ১৫ দিনব্যাপি ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে মশা নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) কতৃপক্ষ। আগামী ১৫ দিনব্যপি একটানা সংস্থাটির সীমানার সকল এলাকায় একযোগে এই ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইওি) অতিরিক্ত সচিব মো: আব্দুল হাই। একইসাথে নতুন ওয়ার্ডগুলেঅতেও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করে মশক নিধনের কাজ করা হবে বলে তিনি জানান। শনিবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনাল থেকে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। এ সময় আব্দুল হাই বলেন, মশার উপদ্রব নগরবাসীকে অতিষ্ট করে ফেলেছে। নতুন মেয়র হিসেবে জনাব আতিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর নগরবাসীকে মশার হাত থেকে কিছুটা স্বস্থি দিতে এই ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। বিমানবন্দর একটি সংবক্ষিত এলাকা হওয়া স্বত্ত্বেও আমরা নাগরিকদের কথা বিবেচনায় এই ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে। যদিও মশক নিধন নিয়ে উচ্চ আদালত পর্যন্ত বিষয়টি গড়িয়েছে। উদ্বোধনকালে ডিএনসিসির ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান, ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়য়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক মিজানুর রহমান, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম ফকির প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ডিএনসিসির সিইও বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মেয়র আতিকুল ইসলাম নাগরিকদের কথা বিবেচনায় এনে সর্বপ্রথম দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে মাঠে নামতে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এর একটি হচ্ছে মশক নিধন ও অপরটি হচ্ছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অীভযান পরিচালনা করা। আমরা একসাথেই এই বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছে। মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছি। আগামী ২৬শে মার্চ ও শুক্রবার ব্যতীত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন এই ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান থাকবে। তবে প্রয়োজনে ক্রাশ প্রোগ্রামের মেয়াদ বাড়ানো হবে। ক্রাশ প্রোগ্রাম চলাকালে প্রতিদিন লার্ভিসাইড, ম্যালেরিয়া অয়েল বি এবং ফগার মেশিনের সাহায্যে অ্যাডাল্টিসাইড ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে ছিটানো হবে। তিনি বলেন, আমরা মশার উৎপাত বন্ধ করতে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সকল ড্রেন ও কালভার্ট এমনকি পানি জমার স্থান আগামী সাত দিনের মধ্যে সার্ভিসিং করতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছি। যার কাজ চলছে। তবে একইসাথে মশক নিধনেরকাজও জোরেশোরে চলবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই মশার ওষুধ ছিটাতে ও প্রতিটি এলাকার রাস্তা ও বাড়ীর আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে আমাদের মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। নাগরিকদের মশার উপদ্রব কমাতে মেয়রের নির্দেশ বাস্তবায়নে সব ধরনের সহায়তা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। অনুষ্ঠানে নবযুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে মশক নিধনে কোন প্রকার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হাই বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে পুরাতন ওয়ার্ডগুলোতে মশক নিধনে কাজ করছি। নতুন ওয়ার্ডগুলেঅতে কোন প্রকার জনবল নিয়োগ করা হয়নি। তাই নাগরিকদের স্বার্থে অতি দ্রুত আউটসোর্সিয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করে ঐসব এলাকায়ও মশক নিধন করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
×